পরিবেশগত সংকটাপন্ন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে পর্যটকদের যাতায়াত ও অবস্থান সীমিত করা–সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট খারিজ হয়েছে। বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রিটটি উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় খারিজ করে দিয়েছেন।
পরিবেশগত সংকটাপন্ন সেন্ট মার্টিন দ্বীপে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিকের দূষণ নিয়ন্ত্রণে পাঁচ দফা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন বিষয়ে গত ২৮ অক্টোবর স্মারক জারি করে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় (পরিবেশ শাখা-২)। অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সম্মতি নিয়ে দ্বীপে নৌযান চলাচলের অনুমতি দেবে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে রাত্রি যাপন করা যাবে না, পর্যটকের সংখ্যা গড়ে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি হবে না এবং সৈকতে রাতে আলো জ্বালানো, শব্দ সৃষ্টি করা ও বারবি কিউ পার্টি করা যাবে না বলে সিদ্ধান্তে উল্লেখ করা হয়।
এ অবস্থায় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াতের ওই নিষেধাজ্ঞা (গত ২৮ অক্টোবরের স্মারক) প্রত্যাহার চেয়ে সেন্ট মার্টিনের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবদুল মালেক গত ১৮ নভেম্বর পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর আবেদন দেন। এ আবেদনে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে যাতায়াতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়। ফল না পেয়ে পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও আবেদন নিষ্পত্তিতে নিষ্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ করে ২৫ নভেম্বর আবদুল মালেক ওই রিটটি করেন। রিটে গত ২৮ অক্টোবরের স্মারকের কার্যক্রমও স্থগিত চাওয়া হয়।
আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজ বিন ইউসুফ ও শফিকুর রহমান এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির শুনানিতে ছিলেন।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ সুলতান মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, যাতায়াতের বিষয়টি শিথিল হতে পারে বলে শুনানিতে জানায় রাষ্ট্রপক্ষ। আদালত রিটটি উত্থাপিত হয়নি বলে খারিজ করে দিয়েছেন।
এদিকে প্রথম দফায় নিয়ম মেনে গত রোববার কক্সবাজার শহরের বাঁকখালী নদীর নুনিয়াছড়া জেটিঘাট থেকে সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণে গেছেন ৬৫৩ পর্যটক।