হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

ছেলে–মেয়ে ও জামাতা আগাম জামিন পাননি

সম্পত্তি লিখে দেওয়া ও জমি বিক্রির টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় মারধরের অভিযোগে ছেলে, মেয়ে ও মেয়েজামাতার বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন মা খুরশিদা আক্তার (৭২)। মায়ের করা এই মামলায় আগাম জামিনের জন্য রোববার হাইকোর্টে আসেন ছেলে, মেয়ে ও জামাতা। আগাম জামিন চেয়ে বিফল হয়েছেন তাঁরা। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তাঁদের জামিনের আবেদন উত্থাপিত হয়নি বিবেচনায় রোববার খারিজ করে দিয়েছেন।

মারধরের অভিযোগে ছেলে, মেয়ে ও জামাতার বিরুদ্ধে ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকার আদালতে নালিশি মামলাটি করেন খুরশিদা আক্তার। এতে ঘটনাস্থল কাফরুল থানার ৪৯৮ উত্তর ইব্রাহিমপুর (বাদীর নিজ বাসা) উল্লেখ করা হয়েছে। আর ঘটনার তারিখ ৩ জানুয়ারি বিকেল চারটা এবং সর্বশেষ ১১ জানুয়ারি সকাল আটটা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।

এই মামলায় আগাম জামিন আবেদনের শুনানি থাকায় খুরশিদা আক্তারের ছেলে হামিদুল হক সোহেল, মেয়ে তাসলিমা আক্তার ও জামাতা সেলিম রেজা রোববার আদালতে হাজির হন। মামলার বাদী খুরশিদা আক্তারও আদালতে উপস্থিত হন।

আদালতে জামিন আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মির্জা সুলতান আলরাজা। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন।  

কোনো অভাব না থাকা সত্ত্বেও সম্পত্তির জন্য ছেলে, মেয়ে ও জামাতা বাদীকে (খুরশিদা আক্তার) মারধর করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সম্পত্তির জন্য যে সন্তান মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে, তাকে জামিন না দিয়ে এখন থেকে সরাসরি কারাগারে পাঠানো সমীচীন বলে শুনানিতে বলেছি। এই মায়ের বিরুদ্ধে তিনজনের মধ্যে এর আগে একজনের করা মামলার প্রসঙ্গ শুনানিতে আসামিপক্ষ উপস্থাপন করে। আদালত বলেছেন, যারা মায়ের গায়ে হাত তুলতে পারে ও মামলা করে—তারা ভালো সন্তান হতে পারে না। তারা আগাম জামিন পেতে পারে না। পরে আদালত জামিন আবেদনটি উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করে দিয়েছেন।’