সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে সড়ক-মহাসড়কে কিছু অপরাধের বিরুদ্ধে এখন থেকে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কর্মকর্তারা। আজ সোমবার সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের এক আদেশের মাধ্যমে এ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তারা হলেন মোটরযান পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালক। এই কর্মকর্তারা অভিযান পরিচালনা বা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবেন।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পুলিশ এখনো ঠিকভাবে দায়িত্বে ফেরেনি। এ অবস্থায় সড়ক-মহাসড়কে আইনের প্রয়োগ শিথিল হয়ে পড়েছে। এ জন্যেই বিআরটিএর কর্মকর্তাদের ক্ষমতা প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, মোটরযান আইন-২০১৮-এ বিআরটিএর কর্মকর্তাদের সড়কে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এই ক্ষমতাবলে মূলত মোটরযান পরিদর্শকেরা মামলা করতে পারতেন। তবে এর প্রয়োগ ছিল না। শুধু নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীন তাঁরা দায়িত্ব পালন করতেন। নতুন আদেশের ফলে মোটরযান পরিদর্শকের পাশাপাশি সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকেরাও আইনের প্রয়োগ করতে পারবেন। শুধু তা–ই নয়, এখন বিআরটিএ কর্মকর্তারা মামলার পাশাপাশি জরিমানাও করতে পারবেন।
বিআরটিএ সূত্র বলছে, সংস্থাটির লোকবলের সংখ্যা প্রায় ৯০০। এর মধ্যে পরিদর্শক, সহকারী পরিচালক ও উপপরিচালকের সংখ্যা সারা দেশ মিলিয়ে দেড় শর মতো। ফলে এত যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে লোকবল বাড়াতে হবে। অনেকটা মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এবং এনবিআরের মতো অভিযান দল গঠন করতে হবে। নতুবা এই আদেশের সুফল মিলবে না।
সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালা, ২০২২–এর কিছু ধারা অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিআরটিএর মোটরযান পরিদর্শক বা অন্য কোনো ব্যক্তিকে কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা প্রদানের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অনুমোদিত হয়েছে। সড়ক পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার স্বার্থে সড়ক-মহাসড়কে সংঘটিত কিছু অপরাধের বিরুদ্ধে সড়ক পরিবহন আইনের ১০৮, ১০৯, ১১১, ১১২ ও ১১৩ ধারা এবং সড়ক পরিবহন বিধিমালার ১৬১ ও ১৬২ বিধি অনুযায়ী বিআরটিএ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে।