যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি
যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি

যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

জগন্নাথের শিক্ষককে বরখাস্ত, চেয়ারম্যানকে অব্যাহতি

এক ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যাঁর বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ, তিনি ওই বিভাগের শিক্ষক আবু শাহেদ ইমন। তাঁকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। মেয়েটি অভিযোগ তোলেন যে যৌন অভিযোগ করার পর তাঁকে হেনস্তা করে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ওই শিক্ষার্থীর অভিযোগ নিয়ে আলোচনা ও নানামুখী তৎপরতার মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা হয়। সেখানে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার আইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

অধ্যাপক আইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, সিন্ডিকেট সভায় ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের অভিযুক্ত প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং অভিযুক্ত আরেক অধ্যাপক জুনায়েদ আহমদ হালিমকে চেয়ারম্যানের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় যৌন হয়রানি ও নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন ওই শিক্ষার্থী। গত সোমবার তিনি ডিবিতে গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেন। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছেও একটি আবেদন করেন।

এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে জগন্নাথের ওই দুই শিক্ষক ও ওই ছাত্রীকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে ডিবি কর্মকর্তারা ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার পাশাপাশি দুই শিক্ষককে তাঁর মুখোমুখি করেও কথা বলেন। এর পরদিন বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট থেকে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো।