গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী বাসুদেব ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং।
এম এ সালাউদ্দিন ইস্কান্দার কিং বলেন, জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় পিকে হালদারের সহযোগী ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের পরিচালক বাসুদেব ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রী পাপিয়া ব্যানার্জি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ১১ মে বাসুদেব ব্যানার্জি ও তাঁর স্ত্রীর নামে মামলা করে দুদক। মামলায় বলা হয়, বাসুদেব ব্যানার্জি ২ কোটি ৩৭ লাখ টাকার তথ্য গোপন করেছেন।
দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রের তথ্য অনুযায়ী, পি কে হালদার নামে-বেনামে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ৯৩৩ কোটি টাকার জমি, ফ্ল্যাট ও হোটেল কিনেছেন। এ ছাড়া তিনি কানাডায় পাচার করেছেন প্রায় ৮০ কোটি টাকা।
দুদক বলেছে, পিরোজপুরের নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান পি কে হালদার মাত্র ১০ বছরের (২০০৯-২০১৯ সাল) ব্যবধানে বিপুল সম্পদ গড়েছেন। তাঁর বৈধ আয়ের পরিমাণ মাত্র ১২ কোটি টাকা। দেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নেন। এই টাকা আর ফেরত না আসায় প্রতিষ্ঠানগুলো গ্রাহকদের টাকা ফেরত দিতে পারছে না।