বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ (Except Israel) শব্দ দুটি বাদ দেওয়া দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন নিরসনে করণীয় বিষয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। আজ শুক্রবার রাজধানীর চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে (এফডিসি) এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।
সিলেট–১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মোমেন বলেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা অন্য কেউ তাঁর সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই এমন (ই-পাসপোর্ট থেকে ‘ইসরায়েল ব্যতীত’ বাদ দেওয়া) পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পাসপোর্টকে আরও মানসম্পন্ন করা এবং খরচ কমানোর জন্য জার্মানির একটি প্রতিষ্ঠান এই কাজটি করেছে বলে আমাকে জানানো হয়েছিল।’
ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল—দুটি পৃথক রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে বর্তমান সমস্যার সমাধান সম্ভব উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মুসলিম বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রনায়ক জনতার রায়ে নির্বাচিত নয়। তাই আরব বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারছে না। তবে বাংলাদেশের সরকার জনগণের দ্বারা নির্বাচিত।
ফিলিস্তিন–ইসরায়েল সংকট নিরসনে ইসরায়েলের প্রতি পক্ষপাতিত্বকারী দেশগুলোর ওপর আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করা, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার চিত্র তুলে ধরা, শান্তিচুক্তি নিশ্চিত করা, ফিলিস্তিন ও ইসরায়েল উভয়ের জন্য আলাদা স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা, আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকার মানদণ্ড মেনে চলা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের ব্যবস্থা করা, ফিলিস্তিনিদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সহযোগিতা নিশ্চিত করা, অবকাঠামো পুনর্নির্মাণে আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনের দাবিও জানানো হয় এই আয়োজন থেকে।
এই ছায়া সংসদের সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী।
‘মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টাই পারে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে’ শীর্ষক ছায়া সংসদে কবি নজরুল সরকারি কলেজ দলের বিপক্ষে জয়ী হয় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দল। প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক ঝুমুর বারী, এ কে এম মঈনুদ্দিন, একরামুল হক ও মাসুদ করিম। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।