রাজধানীর সিদ্দিকবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরেক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তাঁর নাম মো. মুসা হায়দার (৪৫)। এ নিয়ে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২১ জনে দাঁড়াল।
মুসা হায়দার রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইয়ুব হোসেন মো. মুসার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর শরীরের ৯৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
মুসা হায়দারের গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায়। বাবার নাম মো. জামান। মুসার বড় ভাই জিয়া হায়দার বলেন, মুসা হোটেল ব্যবসায়ী ছিলেন। মঙ্গলবার খালাতো ভাই আবু জাফর সিদ্দিককে সঙ্গে নিয়ে সিদ্দিকবাজারে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিস্ফোরণে আবু জাফর মঙ্গলবারই মারা যান।
বিস্ফোরণের ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোট ১২ জনকে ভর্তি করা হয়। তাঁদের মধ্যে মো. মুসা ছাড়াও ছিলেন মো. হাসান (৩২), মো. ইয়াসিন (২৬), খলিল (৫০), আজম (৩৬), অলি সিকদার (৫৫), বাবলু (২৫), আল আমিন (২৫), বাচ্চু মিয়া (৫৫), জাহান (২৫) ও মোস্তফা (৫০)। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।
গতকাল বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেট হিসেবে পরিচিত সাততলা ভবনে বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশের সাততলা ও পাঁচতলা দুটি ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুইন মার্কেটের সাততলা ভবনটির বেজমেন্ট, প্রথম ও দ্বিতীয় তলা বিধ্বস্ত হয়। আর পাঁচতলা ভবনের নিচতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ভবনের দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংকের কার্যালয়।