সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় কর্মসূচি নিয়ে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য ও কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকেরা। শিক্ষকেরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনার বসার জন্য মন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতির অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের মূল ফটকে অবস্থান কর্মসূচিতে এ কথা জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জিনাত হুদা বলেন, তাঁরা পেনশন কর্তৃপক্ষের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এবং অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছেন। সারা দেশের ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের পক্ষ থেকে অর্থমন্ত্রীকে ওপেন চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘আলোচনায় বসুন। অর্থমন্ত্রী কেন আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন?’ তিনি বলেন, ‘যাঁরা এই স্কিম করেছেন, তাঁরা নিজেরা এর আওতায় আসুন এবং দেখুন। আলোচনা ও আন্দোলন একসঙ্গে চলবে।’
প্রত্যয় কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে আজ তৃতীয় দিনের মতো সর্বাত্মক কর্মবিরতি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। শিক্ষকেরা ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচির প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার, সুপার গ্রেডে (জ্যেষ্ঠ সচিবরা যে ধাপে বেতন পান) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনকাঠামো প্রবর্তন— এই তিন দাবিতে আন্দোলন করছেন।
শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের মহাসচিব মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া বলেন, তাঁদের দাবি মানা হলে কাল বৃহস্পতিবার থেকেই তাঁরা কার্যক্রমে ফিরে যাবেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাসে যাবেন না।
শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই আন্দোলন অযৌক্তিক। তিনি এ নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি। একই দিন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ কর্মসূচিটির বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা এ নিয়ে বক্তব্য দেন। তাঁরা বলেন, বিদ্যমান একটি ব্যবস্থা থাকার পরও কেন এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলো। প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নকে ম্লান করার জন্য এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।
শিক্ষকেরা বলেন, যাঁরা সাধারণ মানুষ, পেনশনের বাইরে, তাঁদের জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কেন এর আওতায় আনা হলো, সে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।