ঢাকায় রাশিয়ার দূতাবাস গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, গণতন্ত্র সুরক্ষা বা অন্য কোনো অজুহাতে বাংলাদেশসহ তৃতীয় কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার বিষয়ে রাশিয়া বদ্ধপরিকর। এর পাল্টায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস আজ বুধবার এক টুইটে এ বিষয়ে একটি প্রশ্ন তুলেছে। ইউক্রেনের ক্ষেত্রে রাশিয়া এই নীতি প্রয়োগ করেছে কি না, সেই প্রশ্ন করেছে তারা।
রুশ দূতাবাসের গতকালের বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের অগ্রহণযোগ্যতা এবং তাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের সুরক্ষা-সম্পর্কিত ১৯৬৫ সালের জাতিসংঘের ঘোষণা অনুসারে, কোনো রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক যা-ই হোক না কেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে হস্তক্ষেপ করার অধিকার অন্য কোনো রাষ্ট্রের নেই। দুর্ভাগ্যবশত, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে (বিশেষত, স্নায়ুযুদ্ধ শেষের পর থেকে) হস্তক্ষেপ না করার নীতি লঙ্ঘনের সমস্যাটি বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। কারণ, অনেকে বিশ্বাস করে যে তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে ওই নীতি লঙ্ঘন করতে পারে।
রাশিয়ার দূতাবাস এমন এক সময়ে এই বিবৃতি দিয়েছে, যখন পশ্চিমা দেশগুলোর মিশনগুলো নিয়ে সরকার সরাসরি উষ্মা প্রকাশ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি এবং আগামী সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিদেশি মিশনগুলো খোলামেলাভাবে তাদের আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরছে।