সরকারি চাকরির তথ্য গোপন করে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সিভিল সার্জন কার্যালয়। পাশাপাশি আজ রোববার বিষয়টি চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।
মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারী। সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী কোনো সরকারি কর্মচারী নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। কিন্তু তথ্য গোপন করে সালাহউদ্দিন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। এ কারণে ১৮ ডিসেম্বর সিভিল সার্জন কার্যালয় তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়। তিনি নোটিশের জবাব দেননি। তিনি চাকরিতেও অনুপস্থিত রয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে বিষয়টি আজ রোববার লিখিতভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামকে জানানো হয়।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সালাহউদ্দিন চাকরিবিধি পরিপন্থী কাজ করেছেন। তিনি তথ্য গোপন করেছেন। যদি নির্বাচন করতে হয়, তাহলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে। এ জন্য বিষয়টি কমিশনার বরাবর জানানো হয়েছে। তিনি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের মনোনয়ন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রথম দফা বাতিল হয়। পরে তিনি পুনরায় কমিশনে আবেদন করেন। সেখানেও প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ বহাল থাকে। পরে বুধবার উচ্চ আদালতের রায়ে সালাহউদ্দিন প্রার্থিতা ফিরে পান। তাঁর প্রতীক রকেট।
জানতে চাইলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি স্পর্শকাতর। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা বক্তব্য দেবেন।
এ বিষয়ে জানতে বিভাগীয় কমিশনার তোফায়েল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।