অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাবের বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে। উত্তরণের জন্য ও দেশে গণজাগরণের সৃষ্টির জন্য উন্নত রাজনৈতিক চিন্তা ও সাংগঠনিক কার্যকলাপ প্রয়োজন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীতে সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে শাহবাগে সম্প্রতি প্রকৌশলী ম. এনামুল হককে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত ও অপমানিত করার প্রতিবাদে উদ্বিগ্ন নাগরিক সমাজের সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে নাগরিক সংহতি মঞ্চ। যা আহ্বান করেন অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।
অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, গতানুগতিক রাজনীতি দিয়ে জনগণের উন্নতি, জাতীয় সংহতি এবং আইনের শাসন প্রবর্তিত হবে না। বাংলাদেশের এখন সবচেয়ে বড় প্রয়োজন উন্নত চরিত্রের রাজনৈতিক দল। যেসব দলগুলো সক্রিয় আছে তারাও নিজেদের রাজনৈতিক চরিত্র উন্নত করতে পারে। রাজনীতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। রাজনীতি বিষয়ে দেশবাসী জনগণের মধ্যেও সচেতনতা দরকার।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশে আইনের শাসনের অভাব, হত্যা গুম, নারী নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাব, সুষ্ট নির্বাচন না হওয়া ইত্যাদির কারণে নাগরিক সমাজ উদ্বিগ্ন আজ। বর্ষিয়ান রাষ্ট্রচিন্তক ও বিশিষ্ট নদী গবেষক এমানুল হকের ওপর একই কারণে নির্যাতন করা হয়েছে। বক্তারা ক্ষমতাসীন সরকারের রাজনৈতিক ভূমিকার সীমাবদ্ধতা ও অনৈতিক কার্যকলাপের সমালোচনা করেন।
অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী বলেন, নির্যাতনের এমন ঘটনায় দেশে তেমন প্রতিবাদ দেখছি না। বড় দলগুলো না করাও হতাশাজনক। দেশে ২০০৮ সালের পর থেকে রাজনৈতিক সংকট প্রকট হয়েছে। এরপর একটি রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় দখল করে। দেশের জনগণকে মালিক থেকে পোজায় রূপান্ত করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন নির্যাতনের স্বীকার ম. ইনামুল হক।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেয় অধ্যাপক লিয়াকত আলী, মজিবুর রহমান, শহীদ মনজু, শাহরিয়ার ইওফতেখার, আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, আতাউল্লাহ খান, মজ্জুর হোসেন প্রমুখ।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন নাগরিক ভাবনার আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান।