সেন্ট মার্টিন দ্বীপ
সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

ট্রলারডুবির ঘটনা ঘিরে চৌকিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, কোস্টগার্ডের ফাঁকা গুলি

কক্সবাজারের টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ এলাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সময় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে এক তরুণ নিখোঁজ রয়েছেন। ট্রলারডুবির পর উদ্ধার অভিযানে গড়িমসির অভিযোগ তুলে সেন্ট মার্টিনে কোস্টগার্ডের একটি চৌকিতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ফাঁকা গুলি ছুড়ে কোস্টগার্ড। এ সময় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আজ বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম (প্রশাসন) আজ বিকেল পাঁচটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ফাঁকা গুলি বর্ষণের পর দ্বীপে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

ঘটনার বিষয়ে জানতে কোস্টগার্ডের সেন্ট মার্টিন স্টেশনের কমান্ডারের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হয়। তবে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

ডুবে যাওয়া ট্রলারটির নাম এসবি সাদ্দাম। বেলা তিনটার দিকে শাহপরীর দ্বীপ-সেন্ট মার্টিন নৌপথের বদরমোকামের গোলগরা নামক এলাকায় ট্রলারটি ডুবে যায়। ট্রলার ডুবে নিখোঁজ তরুণের নাম নূর মোহাম্মদ (১৯)। তিনি সেন্ট মার্টিন দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে। নুর মোহাম্মদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতির পদে রয়েছেন বলে জানা গেছে। গুলিবিদ্ধ তরুণের নাম হামিদ হোসেন। তিনি সেন্ট মার্টিনের কোনাপাড়া এলাকার করিম উল্লাহর ছেলে।

সেন্ট মার্টিন সার্ভিস-ট্রলার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় আজ টেকনাফ ও শাহপরীর দ্বীপ থেকে কোনো ট্রলার সেন্ট মার্টিনে যায়নি। এর মধ্যেই এসবি সাদ্দাম নামের মাছ ধরার ট্রলারটি ১২ জন যাত্রীসহ শাহপরীর দ্বীপ থেকে সেন্ট মার্টিনে ফিরছিল। গোলগরা এলাকায় প্রবল ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেটি ডুবে যায়। সেন্ট মার্টিনের কিছু বাসিন্দা ৩-৪টি ট্রলার নিয়ে যাত্রী ও মাঝি-মাল্লাদের উদ্ধার করেন। তবে একজন যাত্রী নিখোঁজ রয়েছেন।

মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম আরও বলেন, ‘ট্রলারডুবির পর সেন্ট মার্টিনে জেটিঘাট এলাকায় কোস্টগার্ডের চৌকিতে গিয়ে বিষয়টি অবহিত করা হয়। তবে কোস্টগার্ড সহযোগিতা করেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজন ডুবে যাওয়া ট্রলারের লোকজনকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার সময় কোস্টগার্ডের চৌকিতে ইটপাটকেল ছোড়েন। জবাবে কোস্টগার্ডও কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।’

সেন্ট মার্টিন ২০ শয্যা হাসপাতালের চিকিৎসক নাঈমুর রহমান বলেন, হামিদ হোসেন নামের গুলিবিদ্ধ এক তরুণকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে বলা হয়েছে। তাঁর ডান হাতের কনুইয়ের দিকে গুলি লেগেছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় লোকজন ইটপাটকেল নিক্ষেপ করায় কোস্টগার্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে শুনেছি। এ বিষয়ে বিস্তারিত খবর নিয়ে জানানো হবে।’