দুবাইয়ে বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম অনুষ্ঠিত

দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম ২০২২–এর অতিথিরা
ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ের ক্রাউন প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উচ্চ শিক্ষা খাতে বাংলাদেশের সাফল্যের ওপর আন্তর্জাতিক সেমিনার ‘বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম ২০২২’। এই ফোরামের উদ্বোধন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। 

এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল উচ্চ শিক্ষার জন্য গন্তব্য হিসেবে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করা। এ সময় বিশ্বে বাংলাদেশকে মানসম্পন্ন ও সাশ্রয়ী শিক্ষার সর্বোৎকৃষ্ট স্থান বলে তুলে ধরা হয়। উদ্বোধনী আয়োজনে মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল ফরচুন ৫০০ কোম্পানিতে চাকরি করছে। এটা আমাদের  শিক্ষার মানকে বিশ্বের বুকে তুলে ধরছে। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষার মানকে বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরতে সকল উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিবিড়ভাবে গবেষণা ও মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি), আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ও অ্যাসোসিয়েশন অব প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এপিইউবি) সহযোগিতায়; দুবাইয়ের প্যান এশিয়ান গ্রুপের উদ্যোগে এবং স্পাইরাল ওয়ার্ল্ডের (বিডি) তত্ত্বাবধানে এই ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। 

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ, এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য শানিয়া মাহিয়া আবেদীন, অফিস অব স্টুডেন্ট অ্যাফেয়ারর্সের পরিচালক মনজুর এইচ খান প্রমুখ। 

এআইইউবির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, বিভিন্ন দেশের সাথে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও বাংলাদেশী প্রবাসীদের মধ্যে তথ্যগত এবং সর্ম্পক উন্নয়নের একটি বড় ব্যবধান রয়েছে। বাংলাদেশ এডুকেশন ফোরাম দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে নিবিড়  সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। 

ইউজিসির সদস্য বিশ্বজিৎ চন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা খাতের ওপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।  তিনি বলেন, শিক্ষার মান নিশ্চিত ও উন্নয়নে পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে ইউজিসি। বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার মান উন্নত করে বিদেশী শিক্ষার্থীদের আকৃষ্ট করতে পারে। 

তিন দিনের এই আয়োজনে কয়েকটি প্যানেলে আলোচনা, তথ্য সেশন,  উপস্থাপনা এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। অংশ নেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীরা।