পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় পাঁচ শয্যার ছোট একটা ইউনিট থেকে ৫০০ শয্যার হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট তৈরির মূল ব্যক্তি বিশিষ্ট বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জন সামন্ত লাল সেন। এ কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনেক কর্মকর্তার টেবিলে টেবিলে ঘুরেছেন তিনি। তাঁর ফাইল ছুড়ে ফেলে দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পর আজ রোববার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে এসে কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করার সময় নিজের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা শোনান সামন্ত লাল সেন।
এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দুই সচিবসহ সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ পেলে তিনি সুষ্ঠুভাবে মন্ত্রণালয় চালাতে পারবেন। আর স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতির ব্যাপারে ‘জিরো টলারেন্স’ (শূন্য সহিষ্ণুতা) দেখাবেন।
নতুন মন্ত্রীকে নিয়ে এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। শুরুতে ছিল মন্ত্রণালয়ের ও স্বাস্থ্য বিভাগের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়। তারপর প্রেস ব্রিফিং। অবশ্য প্রেস ব্রিফিং পৃথকভাবে হয়নি। সাংবাদিকেরা মতবিনিময় সভায় ঢুকে পড়েন ও সভা শেষে নতুন মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা শুরু করেন।
সামন্ত লাল সেন বলেন, অগ্রাধিকারের তালিকায় আছে বড় শহরের বাইরের স্বাস্থ্যসেবার উন্নতি করা। উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসার উন্নতি হলে ঢাকার হাসপাতালে রোগীর চাপ কমবে। কাজের পরিবেশ ভালো হলে চিকিৎসকেরা মফস্সলে কাজ করবেন। গ্রামাঞ্চলে চিকিৎসকেরা কেন থাকেন না, তা বুঝতে চিকিৎসকদের কথা শোনা জরুরি।