কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট এবং হোটেল-রেস্তোরাঁগুলোর বিরুদ্ধে ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা মিলেমিশে লোপাটের অভিযোগ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানের অগ্রগতি ও জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারির মধ্যে দুদক চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
‘কক্সবাজার কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস: ভ্যাটের হাজার কোটি টাকা মিলেমিশে লোপাট’ শিরোনামে ১৬ নভেম্বর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইশরাত জাহান ও শামসুদ্দোহা তালুকদার আজ রিটটি করেন।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো মাসিক চুক্তি অনুযায়ী ভ্যাট কর্মকর্তাদের ঘুষ দিয়ে নামমাত্র ভ্যাট প্রদান করে যাচ্ছে। দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২-এর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কক্সবাজারে অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ ভ্যাট পরিশোধ করছে না।
প্রকাশিত প্রতিবেদনে ভ্যাট আদায়ে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ সত্য না মিথ্যা, সে বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আগামী ১৫ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে আইনজীবী ইশরাত জাহান নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে ছিলেন।