দেশের বাজারে অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি আবারও জানিয়েছে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইওবি)। আজ বুধবার রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টির ওপর জোর দেন সংগঠনের নেতারা।
এক যুগ আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) অবৈধ মুঠোফোন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছিল। চার বছর আগে এ–সংক্রান্ত প্রযুক্তিও নিয়ে আসে বিটিআরসি। কয়েক দফা ঘোষণা দিয়েও শেষ পর্যন্ত অবৈধ মুঠোফোন বন্ধ করা যায়নি। দেশের মুঠোফোন উৎপাদনকারীদের সংগঠন বলছে, কেন সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসা হয়, তা তারা জানে না।
সবশেষ গত ১৮ জানুয়ারি বিটিআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিগগিরই অবৈধ মুঠোফোন নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে। এ জন্য ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) চালুর কার্যক্রম শুরু হয়। তবে বিটিআরসি সূত্রে সম্প্রতি জানা যায়, গ্রাহক ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে এখনই নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করা হবে না।
বারবার বলার পরও এনইআইআর চালু না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে এমআইওবির সভাপতি জাকারিয়া শহীদ বলেন, ‘মুঠোফোন সেট বন্ধ হয়ে যাবে, এমন নেতিবাচক প্রচারণা হয়েছিল। বিটিআরসিও সহজকরণের কথা বলেছিল। পরে কেন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন থেকে পিছিয়ে আসা হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানি না।’ তবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ এ বিষয়ে আগ্রহ দেখানোয় তাঁরা আশাবাদী।
এমআইওবির নেতারা বলেন, দেশে অবৈধ মুঠোফোনের বাজার ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশের মতো। এর ফলে দেশে উৎপাদিত ফোনের বিক্রি অনেক কমে গেছে। এ ছাড়া একটি ফোন উৎপাদন থেকে বিক্রি পর্যন্ত তাদের সর্বনিম্ন ৯ থেকে ২২ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত ভ্যাট দিতে হয়। এতে অবৈধ ফোনের চেয়ে বৈধ ফোনের দাম অনেক বেড়ে যায়।
এমআইওবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মেসবাহ উদ্দিন বলেন, উৎপাদনকারীদের অনেক নীতি মেনে চলতে হয়। এই খাতে ১৭টি প্রতিষ্ঠানে ২৫ হাজার লোক কাজ করছেন। অবৈধ ফোনের বাজার এখনই নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে তা একসময় ৫০ শতাংশে গিয়ে ঠেকবে। ফলে বৈধ ফোনের বাজার সংকটে পড়বে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এমআইওবির সহসভাপতি রেজওয়ানুল হক, যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ ইমাম উদ্দিনসহ প্রমুখ।