আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক নীতিমালা সংশোধনের জন্য যে উদ্যোগ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, তাতে সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর মতামত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আজ রোববার এক বিবৃতিতে টিআইবি এই আহ্বান জানায়। পাশাপাশি তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক চর্চার আলোকে যাতে বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালাটি সংশোধন করা হয়।
বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, বিদ্যমান নীতিমালাটি সংশোধন করতে হবে। কারণ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের অবাধ উপস্থিতি ও স্বাধীনভাবে বিচরণ করার সুযোগ অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের মতামতনির্ভর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বিধিনিষেধমূলক নীতিমালা করলে নির্বাচন কমিশনের ওপর মানুষের চলমান আস্থার সংকট আরও গভীর হবে। অন্যদিকে তা বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আবারও নিরুৎসাহিত করবে।
আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ২০১৮ সালে একটি নীতিমালা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নীতিমালা অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের পেশাদারত্ব বজায় রাখতে হবে, পর্যবেক্ষক দল (কোনো মিশন) আনুষ্ঠানিকভবে বক্তব্য দেওয়ার আগে পর্যবেক্ষকদের কেউ ব্যক্তিগতভাবে গণমাধ্যমে মন্তব্য করতে পারেন না। তাঁরা ভোটকেন্দ্র থেকে ফেসবুক, টুইটার বা এ ধরনের কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি কিছু সম্প্রচার করতে পারেন না।
নীতিমালাটি ‘যুগোপযোগী’ করার বিষয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু করার দায় এককভাবে যেমন নির্বাচন কমিশনের নয়, তেমনি একটি স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করাও যে কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব ও বাধ্যবাধকতা, তা-ও ভুলে গেলে চলবে না। তাই সংশ্লিষ্ট বিষয়ে দলনিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞ, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও অন্যান্য অংশীজনের মতামত এবং এ ক্ষেত্রে বিগত দিনে বাংলাদেশের ইতিবাচক, নেতিবাচক অভিজ্ঞতাসহ আন্তর্জাতিক চর্চার আলোকে নীতিমালাটি ঢেলে সাজাতে হবে।