বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব ২০ জানুয়ারি থেকে শুরু। এ পর্ব শেষ হবে ২২ জানুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে। ইজতেমা উপলক্ষে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। গতকাল সোমবার ডিএমপির ট্রাফিক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্মানিত অতিথিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ সমবেত হন। ধর্মীয় জমায়েত নির্বিঘ্ন করতে ইতিমধ্যে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত হয়।
বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বে বিপুলসংখ্যক ধর্মপ্রাণ মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ যানবাহন পার্কিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত স্থানগুলো নির্ধারণ করেছে।
* খিলক্ষেত থেকে আবদুল্লাহপুর হয়ে ধউর ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে কোনো যানবাহন পার্কিং করা যাবে না। ইজতেমায় আসা মুসল্লিদের যানবাহনগুলো নিম্নবর্ণিত স্থানে (বিভাগ অনুযায়ী) যথাযথভাবে পার্কিং করতে হবে।
* ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ পার্কিং: ১৬ নম্বর সেক্টর এলাকাধীন বিজিএমইএ ভবন, ১০ নম্বর সেক্টর ও ১১ নম্বর সেক্টরের ৫ নম্বর ব্রিজের ঢালে।
* সিলেট বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর ব্রিজের ঢাল থেকে উলোদাহা মাঠ পর্যন্ত।
* খুলনা বিভাগ পার্কিং: উত্তরা ১৭ ও ১৮ নম্বর সেক্টরের খালি জায়গা (বউবাজার মাঠ)।
* রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগ পার্কিং: প্রত্যাশা হাউজিং।
* বরিশাল বিভাগ পার্কিং: ধউর ব্রিজ ক্রসিং–সংলগ্ন বিআইডব্লিউটিএ ল্যান্ডিং স্টেশন।
* ঢাকা মহানগরী পার্কিং: ৩০০ ফিট রাস্তা এলাকায় খালি জায়গা। নির্ধারিত পার্কিং স্থানে মুসল্লিবাহী যানবাহন পার্কিংয়ের সময় অবশ্যই গাড়ির চালক/ হেলপার গাড়িতে অবস্থান করবেন এবং মালিক ও চালক একে অপরের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে রাখবেন, যাতে বিশেষ প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে পারস্পরিক যোগাযোগ করা যায়।
শুধু আখেরি মোনাজাতের দিন অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি (রোববার) ভোররাত ৪টা থেকে ধউর ব্রিজ, ১৮ নম্বর সেক্টরের পঞ্চবটী ক্রসিং, পদ্মা ইউলুপ, ১২ নম্বর সেক্টরের খালপাড়, মহাখালী ক্রসিং, হোটেল রেডিসন ব্লু ক্রসিং, প্রগতি সরণি (বিশ্বরোড), কুড়াতলী উড়াল সড়ক লুপ-২, মহাখালী উড়াল সড়ক পশ্চিম পার্শ্ব, মিরপুর দিয়াবাড়ী বাসস্ট্যান্ড ক্রসিং ও আশুলিয়া বাজার ক্রসিং এলাকায় ডাইভারশন থাকবে।
আখেরি মোনাজাতের পূর্ব রাত অর্থাৎ ২১ জানুয়ারি দিবাগত রাত দুইটা থেকে আন্তজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও অন্যান্য ভারী যানবাহন আবদুল্লাহপুর, ধউর ব্রিজ মোড় পরিহার করে মহাখালী-বিজয় সরণি-গাবতলী হয়ে চলাচল করবে। আশুলিয়া থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনগুলো আবদুল্লাহপুর না এসে ধউর ব্রিজ ক্রসিং দিয়ে ডানে মোড় নিয়ে মিরপুর বেড়িবাঁধ দিয়ে চলাচল করবে। মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে আবদুল্লাহপুরগামী আন্তজেলা বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানসহ সব ধরনের যানবাহন মহাখালী ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে বিজয় সরণি-গাবতলী দিয়ে চলাচল করবে।
কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী বড় বাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যানগুলো হোটেল র্যাডিসন গ্যাপে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো। আখেরি মোনাজাত অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি ভোররাত চারটা থেকে প্রগতি সরণি ক্রসিং-আবদুল্লাহপুর-ধউর ব্রিজ-আশুলিয়া ক্রসিং-মিরপুর মাজার রোড থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক, চিড়িয়াখানা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক এবং পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিং এলাকা থেকে বেড়িবাঁধ সড়ক পর্যন্ত যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
কাকলী ও মিরপুর থেকে উত্তরাগামী প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে নিকুঞ্জ-১ গেটের সামনে ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো। প্রগতি সরণি থেকে আবদুল্লাহপুরগামী যানবাহনকে কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচে লুপ-২ এ ডাইভারশন করা হবে। উল্লিখিত যানবাহনকে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের জন্য বলা হলো।
২২ জানুয়ারি উত্তরার বাসিন্দা, উড়োজাহাজের যাত্রী ও উড়োজাহাজের ক্রু বহনকারী যানবাহন, ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব ধরনের যানবাহনের চালককে বিমানবন্দর সড়ক পরিহার করে বিকল্প হিসেবে মহাখালী, বিজয় সরণি হয়ে মিরপুর-গাবতলী সড়ক ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। বিদেশগামী যাত্রীদের বিমানবন্দরে আনা-নেওয়ার জন্য আখেরি মোনাজাতের দিন ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় একটি বড় মাইক্রোবাস পদ্মা ইউলুপ, দুটি মিনিবাস নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার গেটে এবং একটি বড় মাইক্রোবাস কুড়াতলী লুপ-২ এ ফ্রি পরিবহন সার্ভিসের জন্য ভোররাত চারটা থেকে মোতায়েন থাকবে।