সাভারে ‘জুনোটিক’ রোগ প্রতিরোধে নির্মিত পাঁচতলা পরীক্ষাগার ভবন ফাঁকা পড়ে আছে
সাভারে ‘জুনোটিক’ রোগ প্রতিরোধে নির্মিত পাঁচতলা পরীক্ষাগার ভবন ফাঁকা পড়ে আছে

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে ৭৩ কোটি টাকার প্রকল্পে বড় দুর্নীতি, ১৭ কোটি টাকার যন্ত্র প্যাকেটবন্দী

প্রাকৃতিকভাবে প্রাণী থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে অন্যান্য প্রাণীর দেহে যেসব রোগ ছড়ায়, সেসব রোগকে বলা হয় ‘জুনোটিক’ রোগ। যেমন অ্যানথ্রাক্স (তড়কা), যক্ষ্মা ও জলাতঙ্ক ইত্যাদি। জুনোটিক রোগ প্রতিরোধ করতে ৭৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর মধ্যে পরীক্ষাগার নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি কেনায় ব্যয় করা হয়েছে ৩২ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের ছয় মাস পরও সেই পরীক্ষাগার চালু হয়নি। এমনকি ১৭ কোটি টাকায় কেনা যন্ত্রপাতি পড়ে আছে প্যাকেটবন্দী অবস্থায়।

পরীক্ষাগার কবে চালু হবে, আদৌ হবে কি না, এর উত্তর নেই প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের কাছে। পরীক্ষাগার চালুর জন্য বিশেষজ্ঞ জনবলও নিয়োগ দেওয়া হয়নি। ফলে জুনোটিক রোগ প্রতিরোধের এই প্রকল্পে পুরো অর্থ খরচ হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

এই প্রকল্পে বিশেষ মহলের স্বার্থ অবশ্যই জড়িত আছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুর্নীতির বিষয় উঠে আসার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দায় এড়াতে পারেন না।
ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি

এ তো গেল জনগণের করের টাকায় ‘অপব্যয়ের’ চিত্র। অন্য একটি দিক হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে ঢের। সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে ১৭ কোটি টাকার যন্ত্র কেনায়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ অথবা জাপান থেকে যন্ত্র কেনার কথা থাকলেও কেনা হয়েছে চীন থেকে। অনেক যন্ত্রে নকল স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহের প্রমাণও পাওয়া গেছে। পরীক্ষাগার চালু না করে কেনা রি–এজেন্টও নষ্ট হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে এমন চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার এক বছর পেরিয়ে গেলেও জড়িত কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ঢাকার সাভারে নির্মাণ করা এই পরীক্ষাগারের নাম ‘ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি’। এটি করা হয়েছে ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় ২০১৯ সালের জুলাইয়ে। গত জুনে (২০২৪) প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে।

তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, অনিয়ম-দুর্নীতিতে সাবেক প্রকল্প পরিচালক (বর্তমানে বরখাস্ত) আজিজুল ইসলাম এবং সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক মকবুল হোসেনের নাম এসেছে। পাশাপাশি দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও মালামাল গ্রহণের জন্য গঠন করা কমিটির চার সদস্যের সংশ্লিষ্টতার তথ্য উঠে এসেছে। এই চারজনের একজন সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক মকবুল হোসেন। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সম্প্রতি অবসরে যাওয়া মহাপরিচালক মোহাম্মদ রেয়াজুল হক কথা বলতে রাজি হননি। তিনি প্রকল্প পরিচালক মকবুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

এ তো গেল জনগণের করের টাকায় ‘অপব্যয়ের’ চিত্র। অন্য একটি দিক হলো, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে ঢের। সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে ১৭ কোটি টাকার যন্ত্র কেনায়। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ অথবা জাপান থেকে যন্ত্র কেনার কথা থাকলেও কেনা হয়েছে চীন থেকে। অনেক যন্ত্রে নকল স্টিকার লাগিয়ে সরবরাহের প্রমাণও পাওয়া গেছে। পরীক্ষাগার চালু না করে কেনা রি–এজেন্টও নষ্ট হচ্ছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক তদন্তে এমন চিত্র উঠে এসেছে।

মকবুল হোসেন প্রথম আলোর কাছে দাবি করেন, তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। ভবন নির্মাণের পর গত জুনে তিনি সেটি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছেন। যন্ত্র কেনায় অনিয়ম হয়নি।

এই প্রকল্পের নির্মাণকাজ নিয়ে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিরোধ তৈরি হয় প্রথম প্রকল্প পরিচালক আজিজুল ইসলামের। এর জেরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দেয়। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শাহীনা ফেরদৌসী প্রথম আলোকে বলেন, তদন্তে যা পেয়েছেন, সেটি তাঁরা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন।

অনিয়ম-দুর্নীতিতে পাঁচ কর্মকর্তা

পরীক্ষাগারে পাঁচটি লটে মোট ১৭ কোটি টাকার যন্ত্র কেনা হয়েছে। প্রতিটির দরপত্রেই ‘বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে যোগ্য বিবেচনা করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল নামের এক ব্যক্তি।

মন্ত্রণালয়ের তদন্তে উঠে আসে, যন্ত্রপাতি কেনায় বাংলাদেশ সায়েন্স হাউসকে কাজ দিতে আয়কর দাখিলের সনদে আবশ্যিকভাবে টার্নওভারের একটি বিশেষ শর্ত দেওয়া হয়। এতে বারবার বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস যোগ্য বিবেচিত হয় এবং অন্যরা বাদ পড়ে। দরপত্রে যন্ত্র কেনার ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্টভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের কথা উল্লেখ করা হয়। তবে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউস চীন থেকে যন্ত্র কেনার কথা বলে দরপত্রে অংশ নেয়। কিন্তু দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি নিজেদের শর্ত বিবেচনায় না নিয়ে সেই সায়েন্স হাউসকে কাজ দেয়।

এদিকে মালামাল গ্রহণের জন্য গঠিত কমিটি কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়াই মালামাল গ্রহণ করেন। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি পরিদর্শনে গিয়ে অনেক যন্ত্রে নকল স্টিকার দেখতে পান। সরবরাহ করা মালামাল প্যাকেট খুলে পরীক্ষা করেও দেখেনি মূল্যায়ন কমিটি।

প্রকল্পের দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ছিলেন ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অনুবিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন। কমিটির অন্য দুজন সদস্য হলেন সর্বশেষ প্রকল্প পরিচালক মকবুল হোসেন ও জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শামীম হোসেন। মালামাল গ্রহণ কমিটিতেও মোফাজ্জল হোসেন ও মকবুল হোসেন ছিলেন। মালামাল গ্রহণ কমিটির অন্য সদস্য হলেন প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম। অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে এই চার কর্মকর্তা এবং সাবেক প্রকল্প পরিচালক আজিজুল ইসলামের নাম উঠে এসেছে তদন্তে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, গবাদিপশু থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে, এমন প্রায় ৪৫টি জুনোটিক রোগ রয়েছে। দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি, অপুষ্টি, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, প্রাণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ইত্যাদি জুনোটিক রোগের অন্যতম কারণ।

দরপত্র মূল্যায়ন ও মালামাল গ্রহণ কমিটির প্রধান মুহাম্মদ মোফাজ্জল হোসেন বলেন, যেসব যন্ত্রপাতি তিনি গ্রহণ করেছেন, সেগুলো যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই করেছেন। অবশ্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য শামীম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দরপত্রের শর্তের কারণে অনিয়মের সুযোগ তৈরি হয়েছে। সায়েন্স হাউসকে কাজ দেওয়ার জন্যই দরপত্রে বিশেষ শর্তটি দেওয়া হয়েছিল।

প্রকল্পের সাবেক পরিচালক আজিজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, যন্ত্র কেনায় অনিয়ম ও দুর্নীতির দায় দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও মালামাল গ্রহণ কমিটির। কারণ, অনিয়মের কোনো বিষয়েই তাঁকে জানানো হয়নি।

যন্ত্র কেনায় দুর্নীতির বিষয়ে বাংলাদেশ সায়েন্স হাউসের বক্তব্যের জন্য গত ২৫ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির মহাখালী ও বনানীর কার্যালয়ে গিয়ে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। পরে এক কর্মীর কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আবদুল আউয়ালের নম্বর সংগ্রহ করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়; কিন্তু একাধিবার চেষ্টা করেও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। মুঠোফোনে প্রশ্ন লিখে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

পরীক্ষাগার কাজে আসছে না

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর বলছে, গবাদিপশু থেকে মানবদেহে সংক্রমিত হতে পারে, এমন প্রায় ৪৫টি জুনোটিক রোগ রয়েছে। দুর্বল স্বাস্থ্যবিধি, অপুষ্টি, শিক্ষা ও সচেতনতার অভাব, প্রাণীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ইত্যাদি জুনোটিক রোগের অন্যতম কারণ। এসব রোগ থেকে সুরক্ষা পেতে ও রোগ প্রতিরোধ করতেই প্রকল্পের আওতায় সাভারে করা হয় ‘ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি ল্যাবরেটরি’। এই পরীক্ষাগারে জুনোটিক রোগে মারা যাওয়া গবাদিপশুর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করার কথা। যদিও পরীক্ষাগার ভবনটি ফাঁকা পড়ে আছে।

তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরীক্ষাগার নিয়ে এখনো প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কোনো পরিকল্পনা করেনি। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ‘জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভেটেরিনারি পাবলিক হেলথ সার্ভিস জোরদারকরণ’ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের পরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলমান। অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের ‘অপব্যয়ে’ নির্মিত পরীক্ষাগার চালু নয়; বরং নতুন প্রকল্প নিয়েই আগ্রহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের।

গত ১৫ ডিসেম্বর সাভারে পরীক্ষাগারে গিয়ে দেখা যায়, পাঁচতলা ভবনের অবকাঠামো নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। তবে পরীক্ষাগারে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়নি। যেমন ভবনের নিচতলায় নমুনা সংগ্রহ ও সংরক্ষণ কক্ষ এখনো ফাঁকা পড়ে আছে। কোনো যন্ত্রপাতি ও আসবাব নেই। নিচতলায় অন্যান্য কক্ষ এখনো ব্যবহারোপযোগী হয়নি।

ভবনের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষাগারের প্রশাসনিক কমপ্লেক্স এখনো প্রস্তুত করা হয়নি। তৃতীয় তলায় টিস্যু কালচার পরীক্ষাগার, মলিকুলার ডায়াগনসিস এবং মিডিয়া প্রস্তুতি ল্যাব কাঠামো স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে যন্ত্রপাতিও কেনা হয়েছে। তবে এগুলো প্যাকেটজাত অবস্থায় পড়ে আছে। ভবনের চতুর্থ তলায় ব্যাকটেরিওলজি, সিরোলজি, মাইক্রোবায়োলজি ও অ্যাডভান্স ব্যাকটেরিওলজি ল্যাবের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এসব ল্যাবের জন্য কেনা যন্ত্রপাতি পড়ে আছে তালাবদ্ধ কক্ষে।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই পরীক্ষাগার চালাতে কমপক্ষে ৯ জন কর্মকর্তা ও ৪০ জন কর্মচারী নিয়োগ দিতে হবে। অথচ প্রকল্পে এসব জনবলের বিষয়ে কিছু বলা ছিল না। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নের পরও এটি চালু করা যাচ্ছে না।

যদিও প্রকল্প পরিচালক মকবুল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পরীক্ষাগারে জনবল নিয়োগের বিষয়ে প্রকল্প শেষ হওয়ার আগে তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি দিয়েছেন।

মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চতুর্থ ও পঞ্চম তলার ল্যাবগুলোতে আসবাবের (ল্যাব ফার্নিচার) পরিবর্তে রড, সিমেন্ট ও কংক্রিটের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। প্রথম প্রকল্প পরিচালক আজিজুল ইসলাম এগুলো বাস্তবায়িত করেছেন। এ বিষয়ে তাঁর ভাষ্য, ল্যাব আসবাবের জন্য প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ ছিল না। তিনি বাধ্য হয়ে কংক্রিটের অবকাঠামো তৈরি করেছেন।

প্রকল্পের অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এই প্রকল্পে বিশেষ মহলের স্বার্থ অবশ্যই জড়িত আছে। অভ্যন্তরীণ তদন্তে দুর্নীতির বিষয় উঠে আসার পর জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এখানে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও দায় এড়াতে পারেন না। তাঁদের অবশ্যই জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।