কারখানার মেঝেতে মসলার সঙ্গে ছড়িয়ে ছিল ক্ষতিকর রং ও কাঠের গুঁড়া। এসব গুঁড়ার সঙ্গে ক্ষতিকর রং মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছিল মরিচ ও হলুদের গুঁড়া। এরপর তা প্যাকেটজাত করা হচ্ছিল বাজারে বিক্রির জন্য। চট্টগ্রাম নগরের খাতুনগঞ্জ এলাকায় এমন তিনটি মসলা কারখানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার সকালে খাতুনগঞ্জের সেবা গলিতে অভিযান পরিচালনা করেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবদুস সোবহান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম নগরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ। এ সময় কর্মকর্তাদের উপস্থিতি পালিয়ে যান তিনটি কারখানার মালিকেরা।
কর্মকর্তারা জানান, অভিযানে গেলে মসলা কারখানার মালিকেরা কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যান। পরে কারখানায় ঢুকে দেখা যায়, ক্ষতিকর রং, কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মরিচ ও হলুদের গুঁড়া তৈরি করা হচ্ছিল।
নগরের নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে মালিকেরা রঙের কৌটা সরিয়ে কারখানা বন্ধ করে পালিয়ে যান। কারখানা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের একটি দল সহযোগিতা করে।