বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও নাগরিকদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। আজ সোমবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা শহরে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৫তম অধিবেশনে এমন প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশে বিচারব্যবস্থাকে ব্যবহার করে অধিকারকর্মী, সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের নেতাদের ওপর হয়রানির অভিযোগের খবরে আমি উদ্বিগ্ন। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগগুলো আন্তর্জাতিক নীতি অনুসরণ করে তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’
ফলকার টুর্ক বলেন, ‘বাংলাদেশে হাজার হাজার বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীকে কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। গত বছরের অক্টোবর থেকে আটক অবস্থায় কয়েকজনের মৃত্যুর খবরও পাওয়া গেছে। বিষয়গুলো নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন। যেকোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি ওই নেতা-কর্মীদের মুক্তি এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার লক্ষ্যে তাঁদের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলো দ্রুত পর্যালোচনার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের এ বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘অভিযোগগুলো সম্পর্কে তথ্য আমরা জাতিসংঘ মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তরে দিয়ে রেখেছি; বিশেষ করে যে সংখ্যাগুলো জাতিসংঘ থেকে বলা হয়েছে। অন্যায়ভাবে বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কাউকে যে হয়রানি করা হচ্ছে না, সে তথ্যও দেওয়া হয়েছে।’
জাতিসংঘে আবারও যোগাযোগ করা হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘অনেকে জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা যোগাযোগে থাকব, যাতে ঢালাওভাবে অপবাদ দেওয়ার আগে তথ্য যাচাই করে নেয়। একেক দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি একেক রকম, সবগুলো এক করে দেখার বিষয়টি ভালোভাবে দেখছে না বাংলাদেশ।’