চট্টগ্রামে ব্যাংকের গ্রাহকদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় এক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ (সাময়িক বরখাস্ত) দুজনকে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুনসী আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
কারাদণ্ডের আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিডেটের (ইবিএল) চট্টগ্রাম নগরে ওআর নিজাম রোড শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ইফতেখারুল কবির ও তাঁর সহযোগী নিশাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহমুদুল হাসান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের মামলায় সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা ইফতেখারুল কবিরকে বিভিন্ন ধারায় ২৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ কোটি ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
অপর দিকে মাহমুদুল হাসানকে ১৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৭৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাঁকে আরও ১ বছর ৪ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁদের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ইফতেখারুল কবির ও মাহমুদুল হাসান পরস্পর যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে ইবিএলের গ্রাহকদের ৫০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২ অক্টোবর দুদক চট্টগ্রামের তৎকালীন সহকারী পরিচালক নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। তদন্ত করে তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, ইবিএলের গ্রাহক অনন্য বড়ুয়া, রুপন কিশোর বড়ুয়া ও সুপ্রভা বড়ুয়ার যৌথ হিসাবে জমা হওয়া ৫০ লাখ টাকা স্থায়ী আমানতে রাখার কথা বলে কৌশলে তাঁদের কাছ থেকে টাকা স্থানান্তরের সই করিয়ে নেন ইফতেখারুল। পরে টাকাগুলো তাঁর সহযোগী মাহমুদুল হাসানের হিসাবে জমা করেন।
দুদক কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম আজ সোমবার প্রথম আলোকে বলেন, বিভিন্ন গ্রাহকের টাকা নানাভাবে আত্মসাতের অভিযোগে ইফতেখারুলের বিরুদ্ধে মোট ১১টি মামলা হয়। সব কটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এগুলো এখন বিচারাধীন। ১১ মামলার মধ্যে আজ প্রথম একটি মামলার রায় হলো।