বিএনপির আরও ৬২ নেতা–কর্মী গ্রেপ্তার

বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তারের পর প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
ফাইল ছবি

সারা দেশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর আরও ৬২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেল থেকে আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় গ্রেপ্তার ৩৬ জন।

পুলিশ ও আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্র এবং প্রথম আলোর প্রতিনিধিদের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে এ হিসাব পাওয়া গেছে।

এ নিয়ে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপির ৯ হাজার ৫৬৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে ঢাকায় গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩ হাজার ১০৪।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বাইরে সাত জেলায় ২৬ জন গ্রেপ্তার হন। তাঁদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ১৪, খুলনায় ৪, রাজবাড়ীতে ৩, সাতক্ষীরায় ২, পিরোজপুরে ১, নেত্রকোনায় ১ ও বরিশাল ১ জন রয়েছেন।

তবে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল ভার্চ্যুয়াল সংবাদ ব্রিফিংয়ে দাবি করেন, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি এবং তাদের অঙ্গসংগঠনের ৪১০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে এবং এর পরবর্তী সময়ে মোট গ্রেপ্তার হয়েছে ১৫ হাজার ৬০০ নেতা–কর্মী।

রিজভী  অভিযোগ করেন, দেশজুড়ে বিএনপি, সহযোগী সংগঠন এবং সমমনা দলগুলোর নেতা-কর্মীদের ওপর নিপীড়ন চলছে। তাঁদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নির্বিচার।

এদিকে র‍্যাব বৃহস্পতিবার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়ি ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও নাশকতার ঘটনায় জড়িত বিএনপির ৩১ নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে।

এর মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও আদাবর এলাকা থেকে ছয়জন, চট্টগ্রামে চান্দগাঁও থানার বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ ও কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জামিরুল ইসলাম রয়েছেন।

র‍্যাব বলছে, তারা গত ২৮ অক্টোবর থেকে গতকাল ২৩ নভেম্বর পর্যন্ত সহিংসতার অভিযোগে মোট ৬৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

সারা দেশে এ ধরনের গ্রেপ্তারের কোনো হিসাব পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জানানো হয় না। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ২৮ অক্টোবরের পর থেকে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিনের গ্রেপ্তার ও মামলার তথ্য গণমাধ্যমকে জানিয়েছিল। সে পর্যন্ত রাজধানীতে মোট গ্রেপ্তার ছিল ১ হাজার ৯৬৫ জন। এরপর ডিএমপি আর হিসাব দেয়নি।