কবি শামসুর রাহমানের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর বনানীতে তাঁর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদ, জাতীয় কবিতা পরিষদ ও কবির পরিবার এ শ্রদ্ধা জানায়।
২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট কবি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মারা যান।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জাতীয় কবিতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাত বলেন, শামসুর রাহমানের প্রয়াণের দিনে কেবল তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। কবিকে নিয়ে কবিতা পরিষদের মূল আয়োজনটি থাকে তাঁর জন্মদিনে। এ বছরও অক্টোবরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে শামসুর রাহমানের জন্মদিন উদ্যাপন করবেন তাঁরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কবির ছেলে ফাইয়াজ রাহমান, ছেলের বউ টিয়া রাহমান, ভাগনি দিপিতা রাহমান, ভাগনে সাজ্জাদ হোসেন, জাতীয় কবিতা পরিষদের দপ্তর সম্পাদক হানিফ খান, দুই সদস্য বদরুল হায়দার ও গিয়াস উদ্দিন।
শামসুর রাহমানের জন্ম ১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরান ঢাকার মাহুতটুলীতে। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার পাড়াতলী গ্রামে। ঢাকা নগরেই তাঁর বেড়ে ওঠা। তাই নাগরিক দুঃখ-সুখ তাঁর কবিতায় বিশেষভাবে উঠে এসেছে। পাশাপাশি বাঙালির সব আন্দোলন-সংগ্রামের গৌরবদীপ্ত অধ্যায় ফিরে ফিরে এসেছে তাঁর কবিতায়। ১৯৫৭ সালে মর্নিং নিউজে কাজের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তাঁর সাংবাদিক জীবন। ১৯৮৭ সালে দৈনিক বাংলার প্রধান সম্পাদক হিসেবে চাকরি ছাড়েন। তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’ প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৬০ সালে। প্রকাশিত গ্রন্থ শতাধিক। দৈনিক বাংলার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন অনেক দিন। কবি বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৯), একুশে পদক (১৯৭৭), স্বাধীনতা পুরস্কারসহ (১৯৯১) দেশ-বিদেশের অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেন। বাংলাদেশের মানুষের জন্য তিনি লিখেছেন আমৃত্যু।