চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার সম্পদের অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরই মধ্যে তাঁকে দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে। চাকরিজীবনে বেতন-ভাতাবাবদ তিনি মোট কত টাকা পেয়েছেন, তার হিসাবও চাওয়া হয়েছে দুদক থেকে নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তার নাম কামরুল হাসান। তিনি নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) হিসেবে কর্মরত।
কামরুল হাসান ১৯৮৯ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। বিএনপি জোট সরকারের আমলে তিনি হাটহাজারী, বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মৃত গোলাম কবিরের ছেলে।
গত ৩১ মে দুদক প্রধান কার্যালয় থেকে কামরুল হাসানের সম্পদের অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধানের অনুমোদন দেওয়া হলো। অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হয় দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেনকে। এরপর তাঁকে ১৪ আগস্ট দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয়। একই সঙ্গে চাকরিজীবনের শুরু থেকে গত জুলাই মাস পর্যন্ত বেতন–ভাতা থেকে কামরুল হাসান কত টাকা পেয়েছেন, তার হিসাব চেয়ে নগর পুলিশ কমিশনারের কাছে চিঠি দেওয়া হয় দুদকের পক্ষ থেকে। তবে সেই হিসাব দুদককে এখনো দেওয়া হয়নি। কামরুল হাসানও তাঁর সম্পদের বিস্তারিত বিবরণ এখনো দুদকে জমা দেননি।
জানতে চাইলে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা দুদক চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মো. এমরান হোসেন বুধবার বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, অনুসন্ধান শুরু করেছেন। এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাবে না।
ঘুষ গ্রহণ ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অস্বীকার করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার কামরুল হাসান। তিনি গত সোমবার নিজ কার্যালয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘লাইটারেজ জাহাজসহ আমার যে সম্পদ রয়েছে, সব আয়কর নথিতে রয়েছে। জাহাজ যে কারও থাকতে পারে। দুদককে আমি আমার সব সম্পদের হিসাব দেব।’