কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ভারতীয় টিভি চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে পদক্ষেপ নিতে অন্তবর্তীকালীন নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশে ভারতীয় সব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা আবেদনকারী হয়ে রিটটি করেছেন। সোমবার রিটটি দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া।
রিট আবেদনে ২০০৬ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৫, ১৯ ও ২০ ধারা এবং ২০১০ সালের কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালার ৯(১৩) উপবিধি তুলে ধরা হয়েছে।
আইনের ১৫ ধারায় অনুমোদিত চ্যানেল সঞ্চালন বা সম্প্রচার স্থগিতকরণ ইত্যাদি বিষয়ে বলা আছে। আর ১৯ ধারায় সম্প্রচার বা সঞ্চালনের ক্ষেত্রে বাধানিষেধ অর্থাৎ সেবা প্রদানকারী কেব্ল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যেসব অনুষ্ঠান সম্প্রচার বা সঞ্চালন করতে পারবে না তা উল্লেখ রয়েছে।
আইনের ১৯(১৩) উপধারায় এবং বিধিমালার ৯(১৩) উপবিধিতে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য বিদেশি কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার না করার বিষয়ে বলা রয়েছে। এ ছাড়া আইনের ২০ ধারায় জনস্বার্থে কেব্ল টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ক্ষমতার বিষয়ে বলা রয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইনের ১৫(১) অনুসারে দেশে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। কেব্ল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও লাইসেন্সিং বিধিমালার ৯(১৩) উপবিধি অনুসারে বাংলাদেশের দর্শকদের জন্য ভারতের কোনো চ্যানেলের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার বন্ধে সাত দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। নির্দেশনা বাস্তবায়ন বিষয়ে দুই সপ্তাহের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের আরজি রয়েছে রিটে।
রিটে তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিটিভির মহাপরিচালক ও পুলিশের মহাপরিদর্শককে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টে রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।