কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চলমান বিক্ষোভের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়া নিজ দেশের নাগরিকদের চলাফেরায় সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে।
আজ মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের ওয়েবসাইটে এই সতর্কতা জারি করে। আগের দিন সোমবার বাংলাদেশে চলাফেরার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের ওয়েবসাইটে একটি বার্তা দেওয়া হয়।
মার্কিন দূতাবাসের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঢাকা, আশপাশের এলাকা ও অন্যান্য শহরে ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি ক্রমেই অস্থিতিশীল হয়ে পড়ছে। এ ধরনের বিক্ষোভ স্থানীয়ভাবে পরিবহনসেবায় প্রভাব ফেলতে পারে, যা ঢাকায় আসা-যাওয়া কঠিন করে তুলবে।
সতর্কবার্তায় দূতাবাস আরও বলেছে, মার্কিন নাগরিকদের সতর্কতা পালন করা উচিত। তাঁদের এটা মনে রাখতে হবে যে বিক্ষোভ সংঘর্ষ ও সহিংসতায় রূপ নিতে পারে। সে জন্য বিক্ষোভ এড়িয়ে চলার পাশাপাশি কোনো বড় সমাবেশের আশপাশে থাকলে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হালনাগাদ ভ্রমণ সতর্কতায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশজুড়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ হতে পারে। (অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকদের) বিক্ষোভসহ সব ধরনের বড় মিছিল-সমাবেশ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ, এই সমাবেশগুলো সহিংস হয়ে উঠতে পারে। এর পরিপ্রেক্ষিতে (নাগরিকদের) সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে ১ জুলাই থেকে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এরই ধারাবাহিকতায় আজ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এর মধ্যে অনেক জায়গায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ও পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে ছয়জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।