এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান সম্পর্কে তথ্য জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে আগামী রোববার এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রিটের শুনানি আগামী রোববার পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার শুনানি মুলতবি করেন।
এস আলম গ্রুপ, কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার পরিচালক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল করা এবং এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিটটি করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান ১৭ সেপ্টেম্বর রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহীন আহমেদ।
পরে আইনজীবী শাহীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এস আলম গ্রুপের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের যে বিষয়গুলো এসেছে, তা নিয়ে দুদক অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করেছে বলে আদালতকে জানিয়েছি। তবে এ বিষয়ে হালনাগাদ তথ্যগুলো এখনো হাতে আসেনি।’ তিনি বলেন, এই তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সময়ের আরজি জানানো হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রিটের শুনানি রোববার পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে এস আলম গ্রুপের অর্থ পাচার অভিযোগের ওপর অনুসন্ধান–সংক্রান্ত তথ্য সেদিন আদালতকে অবহিত করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রিট দায়েরের পর আইনজীবী মো. রুকুনুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেছিলেন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এস আলম গ্রুপের এ পর্যন্ত নেওয়া ঋণের পরিমাণ, সেগুলোর বর্তমান অবস্থা ও দায়, বিদেশে পাচার করা অর্থ ও সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা, সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। আদালতের অনুমতি ছাড়া কোম্পানির পরিচালকসহ পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞাও চাওয়া হয়েছে।