ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়ায় দেয়াল ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজার জেলায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ছয়জন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় প্রবল বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া শুরু হয়।
ঝড়ে কক্সবাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পাহাড়তলী এলাকায় আজ রাত সোয়া নয়টার দিকে আধা পাকা ঘরের দেয়াল চাপা পড়ে আবদুল খালেক (৪০) নামের এক ব্যক্তি মারা গেছেন। পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী রাত ১১টায় প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এ ছাড়া মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের কবরস্থান এলাকায় রাত সাড়ে আটটার দিকে ঘরের সামনের গাছ চাপা পড়ে মারা যান হারাধন দে (৪৫) নামের আরেক ব্যক্তি। মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হক বলেন, গাছ চাপা পড়ে হারাধন দে মাথায় আঘাত পান। হাসপাতালে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ ছাড়া গাছ চাপা পড়ে আহত ছয়জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
মহেশখালীতে ঝোড়ো হাওয়ায় ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ। গতকাল রাত রাত ১০টার দিকে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক ও বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন।