শিশুস্বাস্থ্যে বাংলাদেশের অর্জনের প্রশংসায় কিডস রাইটস

প্রতীকী ছবি

কিডস রাইটসের প্রতিবেদনে বাংলাদেশকে শিশুদের ‘স্বাস্থ্য অধিকারের’ ক্ষেত্রে ইতিবাচক দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী দেশ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। আজ বুধবার নেদারল্যান্ডসভিত্তিক বেসরকারি সংগঠনটি কিডস রাইটস সূচক ২০২২ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

শিশু অধিকারবিষয়ক সংগঠনটির এ প্রতিবেদনে ‘স্বাস্থ্যের অধিকার’ বাস্তবায়নে বাংলাদেশের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়।

এতে বলা হয়, এ বছরের প্রতিবেদনে ‘স্বাস্থ্যের অধিকারের’ ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হলো বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যসেবার ওপর বিশেষ জোর দিয়ে শিশু জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যগত অবস্থা শক্তিশালী করতে সরকারের সুচিন্তিত নীতিগত প্রচেষ্টার ফলে এই অর্জন সম্ভব হয়েছে।

কিডস রাইটস বলছে, গত ১০ বছরে বাংলাদেশ ৫ বছরের নিচে কম ওজনের শিশুর সংখ্যা প্রায় অর্ধেকে কমিয়েছে। সুপেয় পানি পানকারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৮৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৯৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিডস রাইটস ইনডেক্স হলো প্রথম ও একমাত্র সূচক, যা দেশগুলোতে বছরে শিশু অধিকারের প্রতি কতটা সম্মান জানানো হয়, তা প্রকাশ করে থাকে।

শিশু অধিকার বাস্তবায়নে সূচকের ওপরের দিকে রয়েছে আইসল্যান্ড, সুইডেন ও ফিনল্যান্ড। ১৮৫টি দেশের মধ্যে তলানির দিকে রয়েছে সিয়েরা লিওন, আফগানিস্তান ও চাদ।

জাতিসংঘের সরবরাহ করা পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির কারণে প্রায় ১০০ কোটি শিশু ‘খুবই উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে। প্রায় ৮২ কোটি শিশু বর্তমানে তাপপ্রবাহের সংস্পর্শে এসেছে।

কিডস রাইটস বলছে, পানির ঘাটতি বিশ্বব্যাপী ৯২ কোটি শিশুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলেছে। ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর মতো রোগে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬০ কোটি শিশু, অর্থাৎ প্রতি ৪ জনে ১ জন।

এই বছরের প্রতিবেদনকে ‘বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিশুদের জন্য উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন কিডস রাইটসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মার্ক ডুলার্ট। তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তন হওয়া জলবায়ু শিশুদের ভবিষ্যৎ ও তাদের মৌলিক অধিকারকে হুমকির মধ্যে ফেলেছে।