পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল বিল জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
১৯৮৬ সালে সামরিক আমলে করা দ্য পুলিশ (নন গেজেটেড এমপ্লয়িজ) ওয়েলফেয়ার ফান্ড অর্ডিন্যান্স রহিত করে নতুন এই আইনটি করা হচ্ছে।
বিলে বলা হয়েছে, কর্মচারী বলতে পুলিশের উপপরিদর্শক (সাব ইন্সপেক্টর) নিচের পদমর্যাদার কোনো পুলিশ এবং পুলিশ অধিদপ্তরে কর্মরত পুলিশ নন, এমন সব কর্মচারীকে বোঝাবে।
বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পুলিশ (অধস্তন কর্মচারী) কল্যাণ তহবিল ব্যবস্থাপনা বোর্ড নামে একটি বোর্ড থাকবে। পদাধিকারবলে পুলিশ মহাপরিদর্শক এই বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন। তহবিল থেকে কর্মচারী ও তাঁদের পরিবারকে কল্যাণ অনুদান মঞ্জুরি করবে বোর্ড। কর্মচারীদের দেওয়া চাঁদা, সরকারি অনুদান, তহবিলের অর্থ বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফা এবং অন্য কোনো বৈধ উৎস থেকে পাওয়া টাকায় তহবিল গঠন করা হবে। প্রত্যেক কর্মচারীর বেতন থেকে মাসিক চাঁদা হিসেবে সরকার নির্ধারিত পরিমাণ টাকা কেটে তহবিলে জমা করা হবে।
১৯৬৯ সালের কাস্টমস অ্যাক্ট রহিত করে কাস্টমস আইন করতে যাচ্ছে সরকার। এ জন্য আজ কাস্টমস বিল–২০২৩ জাতীয় সংসদে তোলা হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের পক্ষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিলটি সংসদে তোলেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণসংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কাস্টমস ব্যবস্থাপনা আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নেওয়া বহুমুখী সংস্কার ও আধুনিকায়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কাস্টমস–সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চা অন্তর্ভুক্ত করে ১৯৬৯ সালের কাস্টমস আইন রহিত করে বাংলায় নতুন আইনটি করা হচ্ছে।