সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানিয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী
সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানিয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী

প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রতিবাদ জানিয়ে বর্ষাবরণ করল উদীচী

আজ আষাঢ়ের প্রথম দিন। বাংলা ষড়্ঋতুর বর্ষাকাল শুরু হলো। বর্ষাকথন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানিয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। ‘প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও বিশ্ব বিবেক’, এই স্লোগানে সকালে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ উৎসব।

ঢাকা মহানগর উদীচীর সভাপতি নিবাস দের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ষা কথনপর্বে আলোচক হিসেবে ছিলেন কৃষি ও কৃষক বন্ধু রেজাউল করিম সিদ্দিক রানা। আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন উদীচী কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি অধ্যাপক বদিউর রহমান, সহসভাপতি ও বর্ষা উৎসব উদ্‌যাপন কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে । ‘বর্ষাকথন’ উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কবি রহমান মুফিজ। সঞ্চালনা করেন উদীচী ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক আরিফ নূর।

আলোচনা পর্বে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান ‘উন্নয়নযাত্রা’র এ মডেলের সুবিধাভোগী মূলত একচেটিয়া করপোরেট প্রতিষ্ঠান, দুর্নীতিবাজ দখলদার ব্যক্তি ও লুটেরা গোষ্ঠী। আর এর শিকার দেশের প্রাণ-প্রকৃতি, পরিবেশ ও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। দেশের সম্পদ নদীনালা, খালবিল, বন-পাহাড়, উন্মুক্ত জমি লুটেরা গোষ্ঠীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে উন্নয়নের ধুয়া তুলে। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর পুঁজির নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার কাজটি নিশ্চিত করেছে রাষ্ট্র।

আলোচনা পর্বের আগে সকাল ৭টায় উচ্চাঙ্গসংগীতশিল্পী পণ্ডিত অসিত কুমার দের রাগ সংগীতের মাধ্যমে বর্ষা উৎসবের আয়োজন শুরু হয়। এরপর সমবেত গান, আবৃত্তি, নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে বর্ষা ঋতুকে স্বাগত জানিয়েছে উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী

অনুষ্ঠান থেকে বেশ কয়েকটি দাবি জানানো হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংস করে প্রকল্প বা স্থাপনা গড়ে তোলা চলবে না; অপরিকল্পিত নগরায়ণ বন্ধ করতে হবে; শহরে-বন্দরে সৌন্দর্যবর্ধনের নামে গাছ কাটা, পশুপাখির আবাসস্থল ধ্বংস বন্ধ করা এবং অবিলম্বে দেশের বিলুপ্তপ্রায় পশুপাখি সংরক্ষণের উদ্যোগ নিতে হবে।