প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে আজ শুক্রবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
সকাল সাতটায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে রক্ষিত প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী। ফুল দেওয়ার পরে তিনি সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় প্রধান হিসেবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকবার ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
ঐতিহাসিক এই দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
১৯৬৬ সালের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে বাঙালিদের ‘ম্যাগনা কার্টা’ বা ‘মুক্তির মহাসনদ’ ছয় দফা দাবির ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানিদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আন্দোলন শুরু করেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৬৬ সালের ৭ জুন সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের ওপর পাকিস্তানের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের শোষণ, পীড়ন, নিপীড়ন, বঞ্চনা, পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বের হয়ে আসতে ও অত্যাচারের অবসান ঘটাতে স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে দিনব্যাপী হরতালের ডাক দেয়।
হরতাল চলাকালে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জে সেদিন বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ও আধা সামরিক ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ইপিআর) নির্বিচার গুলি চালালে শ্রমিকনেতা মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ ১০ জন নিহত হন।
পাকিস্তানি শাসকদের পাশবিকতা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের আন্দোলনকে ১৯৬৯ সালে ঐতিহাসিক গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত করে, যা পরবর্তীকালে ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের ক্ষমতার পতন ঘটায়।