আটক হওয়া বম নারী ও শিশুদের মুক্তি চেয়ে বিবৃতি

চলতি বছরের এপ্রিল মাসে পার্বত্য জেলা বান্দরবানের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের সময় আটক বম জাতিগোষ্ঠীর নারী ও শিশুদের মুক্তি চেয়ে ৫৫ জন বিশিষ্ট নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন।

আজ শুক্রবার এই বিবৃতি দেন বিশিষ্টজনেরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত এপ্রিলে বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা ব্যাংক ডাকাতি করে। এ ঘটনার জের ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যৌথ অভিযান শুরু করে। যা এখনো অব্যাহত আছে। গত ছয় মাসে দেড় শতাধিক জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ২৭ জন নারী, ৪ শিশু ও ১৪ শিক্ষার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ছাত্র–জনতার অভ্যুথানের মাধ্যমে স্বৈরশাসকের পতনের পর পাহাড়ে ও সমতলে গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সম্ভাবনার ভিন্ন ভিন্ন বাস্তবতা আমাদেরকে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন করেছে। সমতল যখন নিপীড়নমুক্ত ভবিষ্যৎ গড়ার সম্ভাবনায় টগবগ করছে, তখন বান্দরবানে ক্ষুদ্র জাতিসত্তার বম জনগোষ্ঠীর অনেকে বিনা অপরাধে জেল খাটছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছয় মাসের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের বিভিন্ন স্থানে বম জাতিগোষ্ঠীর যাত্রীদের হেনস্তা করা হচ্ছে। বান্দরবানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীদের কাজের জন্য যাতায়াতের সময় পরিচয়পত্র দেখাতে হচ্ছে এবং তাঁরা নানা জেরার মুখোমুখি হচ্ছেন। ভয়ে অনেকে ফসল তুলতে পারেননি, আয়রোজগারের পথ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, জনজীবনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যাবে না।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আছেন আনু মুহাম্মদ, রেহনুমা আহমেদ, মেঘনা গুহঠাকুরতা, শহিদুল আলম, রাণী ইয়েন ইয়েন, হারুন উর রশীদ, সামিনা লুৎফা, মির্জা তাসলিমা সুলতানা, সাঈদ ফেরদৌস, মাহা মির্জা, ফারজানা ওয়াহিদ সায়ান, ওমর তারেক চৌধুরী প্রমুখ।