ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আলেশা মার্টের মালিক মনজুর আলম শিকদারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে দেনা পরিশোধের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা। এ ছাড়া মনজুর ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরীকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
আজ শুক্রবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আলেশা মার্ট কাস্টমার ভিকটিম অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান গ্রাহকেরা। সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বিপ্লব আলী আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক রাসেল খান, সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন হাসান তাফসীরসহ প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিপ্লব আলী আরাফাত বলেন, ২০২১ সালে আলেশা মার্ট চালুর পর বাইকের ওপর ৩৫ শতাংশ ছাড় দিয়ে ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় তারা। এরপর প্রায় ৪৬ হাজার বাইকের ফরমাশ দেন গ্রাহকেরা। পরে ৩৩ শতাংশ ছাড়ে আবারও প্রায় ৩০০ কোটি টাকার ফরমাশ দেন প্রায় ৭ হাজার গ্রাহক।
বিপ্লব আলী আরাফাত বলেন, গ্রাহকদের পণ্য দিতে ব্যর্থ হয়ে চাপের মুখে আলেশা মার্ট কর্তৃপক্ষ পণ্য বা রিফান্ড (অর্থ ফেরত) কোনোটাই না দিয়ে বিভিন্ন তারিখে চেক ধরিয়ে দেয়। কিন্তু নির্দিষ্ট তারিখ অনুযায়ী পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় চেকগুলো ব্যাংক থেকে প্রত্যাখ্যান করা হয়। পরে একাধিকবার সময় দিয়েও টাকা দেয়নি তারা।
বিপ্লব আলী আরাফাত অভিযোগ করে বলেন, মনজুর ও তাঁর স্ত্রী সাদিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে সারা দেশে বহু মামলা হয়েছে। তাঁদের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও এখনো তাঁরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।