আলোচনা সভা

প্লাস্টিকের দূষণ বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

প্লাস্টিক বর্জ্য ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ দূষিত হচ্ছে
ফাইল ছবি

প্লাস্টিকের দূষণ বন্ধ করার জন্য সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আমিনুর রহমান। তাঁর মতে, প্লাস্টিকের মারাত্মক দূষণ পৃথিবীকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখোমুখি করতে পারে।

সোমবার বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুর রহমান এ আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আমিনুর রহমান বলেন, ‘আর দেরি নয়। আজ, এখন এবং এই মুহুর্তে এখান থেকেই শপথ নিতে হবে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধের। আমাদেরকে প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে প্লাস্টিকের পণ্যসামগ্রী বিশেষ করে পলিথিন ব্যাগ পরিহারে উদ্যোগী হতে হবে। অন্যথায় প্লাস্টিকের মারাত্মক দূষণ পৃথিবীকে এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যেতে পারে।’

বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, একটি দেশের জন্য কমপক্ষে ২৫ শতাংশ গাছপালা প্রয়োজন। আমরা অনেক কষ্ট করে ১৭ শতাংশে উন্নীত করেছি। বাকি আছে আরও ৮ শতাংশ। এই ৮ শতাংশ বাড়ানোর জন্য আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্যথায় আমরা কোথায় হারিয়ে যাব, তা জানা নেই।

‘প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে’—এই প্রতিপাদ্যে চট্টগ্রাম নগরীর শিল্পকলা একাডেমিতে আলোচনা সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক হিল্লোল বিশ্বাস।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ, চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক অলক পাল। তিনি বলেন, ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক খাল, নালা, বিল, ড্রেন, নদী, সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। আবার মাটিতেও যাচ্ছে। সব কিছুকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছে। বায়ুকে দূষিত করছে। বাস্তুসংস্থান নষ্ট করছে।