চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকে হত্যা মামলায় ছেলেসহ যুবলীগ কর্মী গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার
প্রতীকী ছবি

চট্টগ্রাম নগরে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় ছেলেসহ যুবলীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন নগরের পাহাড়তলী থানার সরাইপাড়া ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী মো. জসিম উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মো. রাহাত। মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জের ভৈরব থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গত রোববার দুপুরে পাহাড়তলী থানার মধ্যম সরাইপাড়া এলাকায় মো. হোসেন মান্না নামের এক আওয়ামী লীগ নেতাকে ছুরিকাঘাতে খুন করা হয়। তিনি সরাইপাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যায়, হোসেনকে ছুরিকাঘাত করেন জসিম উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। আশপাশে লোকজন থাকলেও কেউ হোসেনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেনি। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী খালেদা আক্তার বাদী হয়ে জসিমসহ আটজনকে আসামি করে পাহাড়তলী থানায় মামলা করেন।

আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের কর্মী। পুলিশ জানায়, জসিমের কাছে ১০ হাজার টাকা পান হোসেন। কিন্তু জসিম সেই টাকা পরিশোধ করেননি। এ ছাড়া সম্প্রতি চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং, পাহাড়তলী ও হালিশহর) আসনের উপনির্বাচনে হাজী ক্যাম্প ভোটকেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির দায়িত্বে ছিলেন হোসেন মান্না। কেন্দ্র কমিটির সদস্য ছিলেন জসিম উদ্দিন। কেন্দ্র খরচের টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য হয়েছিল, যা একপর্যায়ে ঝগড়া ও খুনে রূপ নেয়।

নগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পরপরই জসিম ও তাঁর ছেলে রাহাত পালিয়ে কিশোরগঞ্জে চলে যান। ভৈরবে এক আত্মীয়ের বাসায় তাঁরা আত্মগোপনে ছিলেন। সেখান থেকে দেশের বাইরে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। হত্যাকাণ্ড যেখানে হয়েছে, তার পাশেই নালা থেকে দুটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।