বান্দরবানে যৌথ অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত

বান্দরবানের থানচি-রেমাক্রী-লেইক্রী সড়কের তাজিংডং পাহাড়ের সিমপ্লাংপিপাড়া এলাকায় আজ বুধবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে কেএনএফের এক সদস্য নিহত ও স্থানীয় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছেন বলে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।

সকালে সিমপ্লাংপিপাড়া এলাকায় দুই পক্ষের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে বলে থানচি সদর ইউনিয়নের ঘটনাস্থলের কাছাকাছি এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন। দুপুরের দিকে পুলিশ নিহত একজনের লাশ ও আহত দুজনকে থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সিমপ্লাংপিপাড়া থানচি সদর ইউনিয়নে এবং দেশের সর্বোচ্চ পাহাড় তাজিংডং পাহাড়চূড়ার কাছাকাছি। থানচি উপজেলা সদর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে।

থানচি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান মুরাদ বলেন, হাসপাতালে একটি অজ্ঞাতপরিচয় লাশ নিয়ে আসা হয়েছে। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। লাশের মুখে গুলির আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। আহত দুজনকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাঁরা হলেন সিমপ্লাংপিপাড়ার বৈথন সাং বম (১৭) এবং শেরকরপাড়ার লাল হোম রুয়াত বম (৩০)।

জানতে চাইলে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মো. রায়হান কাজেমী বলেন, তাজিংডং পাহাড় ও সিমপ্লাংপিপাড়া এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযানে কেএনএফের পোশাক পরা একজনের লাশ পাওয়া গেছে। সেখানে মাইন বিস্ফোরণে দুজন পোর্টার (মালামাল বহনকারী শ্রমিক) আহত হয়েছেন।

গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের সশস্ত্র সংগঠন কেএনএফ রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অস্ত্র লুট করে। ওই ঘটনার পর থেকে কেএনএফ সদস্যদের গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব ও আনসার বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে। অভিযানে এ পর্যন্ত কেএনএফের কয়েকজন সদস্য নিহত হয়েছেন। অভিযানে ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনার মামলায় ২৪ নারীসহ ১০৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।