পৃথক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, কর্নেল (অব.) ফারুক খানসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বুধবার সকালে এ আদেশ দেন।
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো অপর আসামিরা হলেন, সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ শাহজাহান ওমর, তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপারসন শমসের মবিন চৌধুরী, সাবেক সচিব মহিবুল হক, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
আদালতে শুনানির আগে আনিসুল হককে জিয়াউল আহসানের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। মহিবুল হক কথা বলেন শমসের মবিন চৌধুরীর সঙ্গে।
সকাল সাড়ে সাতটার পর সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হকসহ সাতজনকে কারাগার থেকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় আনা হয়। এরপর সকাল ৯টার দিকে হাজতখানা থেকে তাঁদের আদালতের এজলাসে তোলা হয়।
আদালতে দেখা যায়, এজলাসের এক পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাজাহান ওমর। অন্য পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন শমসের মবিন চৌধুরী। এই দুই নেতার মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে ছিলেন সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, সাবেক সচিব মহিবুল হক, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুন ও জিয়াউল আহসান।
উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে সাবেক মন্ত্রী ফারুক খানের আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী আদালতকে বলেন, উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর ক্ষেত্রে পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষ থেকে কেস ডায়েরি আদালতের সামনে হাজির করার নিয়ম। সব ধরনের কাগজপত্র পর্যালোচনা করে আদালত আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করবেন। গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশে তা লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। তখন আদালত বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশে সবকিছু উল্লেখ থাকবে।
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে যাত্রাবাড়ী ও কাফরুল থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলা, ফারুক খানকে মতিঝিল থানার একটি মামলা, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল–মামুনকে কাফরুল থানার পৃথক দুটি হত্যা মামলা ও শাজাহান ওমরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বনানী থানার একটি হত্যাচেষ্টা মামলায়। এ ছাড়া শমসের মবিন চৌধুরীকে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। নিউমার্কেট থানার একটি হত্যার মামলায় সাবেক সচিব মহিবুল হককে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া কাফরুল থানার একটি হত্যা মামলায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সাবেক আইন মন্ত্রীসহ সাতজন গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।