চট্টগ্রাম নগরের খুলশীতে গত রোববার ভোটকেন্দ্রের বাইরে প্রকাশ্যে অস্ত্র উঁচিয়ে গুলি করেন শামীম আজাদ ওরফে ব্ল্যাক শামীম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ছবি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরে সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁর অবস্থান জানতে পারলে সেখান থেকে অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পালানোর সময় র্যাব তাঁকে ধরে ফেলে।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও র্যাব ক্যাম্পে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এর আগে গতকাল সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ব্রিফিংয়ে বলেন, শামীম মিরসরাইয়ের স্থায়ী বাসিন্দা। বর্তমানে খুলশীতে বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি চাঁদাবাজি, দরপত্র ছিনতাই, অস্ত্রধারী ও এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পেশিশক্তি প্রদর্শন ও অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ভোটারদের বাধা দিয়ে আসছিলেন।
গত রোববার ভোট চলাকালে চট্টগ্রাম–১০ আসনের খুলশীর পাহাড়তলী ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে নৌকা ও ফুলকপি প্রতীকের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সে সময় শামীম আজাদকে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছুড়তে দেখা যায়। সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হন দুজন। তাঁরা হলেন শান্ত বড়ুয়া (৩০) ও মো. জামাল (৩২)। গুলিবিদ্ধ দুজন নৌকার সমর্থক বলে দাবি করেন।
আহত দুজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আসনটিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়েন মো. মহিউদ্দিন (বাচ্চু)। ফুলকপি প্রতীকের প্রার্থী ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ জামালের স্ত্রী হাজেরা বেগম বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে খুলশী থানায় মামলা করেন। এতে শামীমকে ১ নম্বর আসামি করা হয়। বাকি ছয় আসামি হলেন, ১৩ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী রোমানা চৌধুরী, ওয়াসিমের অনুসারী কাজী কাউসার, মো. সুমন ও মো. পারভেজ।