জাতীয় নাগরিক কমিটি
জাতীয় নাগরিক কমিটি

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের দাবি

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করে এ ঘটনায় জড়িতদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তারা বলেছে, দেশে চলমান ভয়াবহ অস্থিতিশীলতার দায় নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।

মঙ্গলবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে এসব কথা বলা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিবৃতিটি গণমাধ্যমে পাঠান জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন।

বিজ্ঞতিতে বলা হয়, মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর মুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারীদের হামলায় এপিপি সাইফুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া আদালত প্রাঙ্গণে মসজিদ ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। দুটি ঘটনাই অত্যন্ত নিন্দনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জাতীয় নাগরিক কমিটি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এর আগে চিন্ময় কৃষ্ণকে চট্টগ্রামের স্থানীয় এক বিএনপি নেতার করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল

নাগরিক কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, বেশ কিছুদিন ধরে দেশজুড়ে অশান্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। কতিপয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনাসহ বিভিন্ন আশঙ্কাজনক পরিস্থিতিতে সরকার ও পুলিশ প্রশাসনের কাছ থেকে নিষ্ক্রিয় অবস্থান লক্ষ করা যাচ্ছে। এ ছাড়া সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ও কাজে অদূরদর্শী ভূমিকাও দেখা যাচ্ছে। এতে পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি নানা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিল্লির তাঁবেদার গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাকে দিল্লিতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে দেশের আপামর জনগণ। চলমান পরিস্থিতিতে দেশের অভ্যন্তরের গণহত্যাকারী পতিত ফ্যাসিবাদী শক্তি ও দেশের বাইরের ষড়যন্ত্রকারীরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগানোর পাঁয়তারা করছে।

দেশের নাগরিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি বলেছে, ‘আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে কোনোভাবেই প্রতিক্রিয়াশীল ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন না এবং নিজেদের আধিপত্যবাদী শক্তির ক্রীড়নক বানাতে দেবেন না। দিল্লি এবং পতিত ফ্যাসিবাদী গণহত্যাকারী দলের পাতা ফাঁদে আমরা পড়তে যাচ্ছি। দেশের নাগরিকেরাই পারেন এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে। ধর্ম-বর্ণনির্বিশেষে আমাদের সবাইকেই দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। চট্টগ্রামসহ সব স্থানে নাগরিকদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।

আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফের হত্যাকাণ্ডের দ্রুত তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয় বিজ্ঞপ্তিতে। এতে বলা হয়, ‘সরকার ও প্রশাসন নিজ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করলে আমাদের এই ঘটনা দেখতে হতো না। চলমান ভয়াবহ অস্থিতিশীলতার দায় নিয়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে ত্বরিতগতিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় ফ্যাসিবাদবিরোধী ও গণতান্ত্রিক সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।