সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

সিলেটের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান দেশ ছেড়ে লন্ডনে গেছেন

সিলেট সিটি করপোরেশনের সদ্য সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী দেশ ছেড়ে লন্ডনে চলে এসেছেন। তবে তিনি কবে ও কীভাবে লন্ডনে এলেন, তা জানা যায়নি।

স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দুপুরে বার্তা আদান–প্রদানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালে তিনি মুঠোফোনে প্রথম আলোর লন্ডন প্রতিনিধিকে জানান, তিনি কাছাকাছি আছেন।

স্থানীয় সময় গত শুক্রবার রাতে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফারুকের কাছে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর লন্ডনে আসার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আনোয়ারুজ্জামান লন্ডনে চলে এসেছেন এবং তাঁর সঙ্গে আমার দেখাও হয়েছে।’ আনোয়ারুজ্জামানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা থাকার পরও তিনি কবে ও কীভাবে দেশ থেকে বের হলেন, জানতে চাইলে সে ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী একজন ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আনোয়ারুজ্জামান গত বছরই প্রথম সিলেটের মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনি যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন। ২০২৩ সালের ২১ জুন তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ–আন্দোলনের মুখে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া ও আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১৯ আগস্ট সিলেটসহ দেশের ১২টি সিটি করপোরেশনের মেয়রকে অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।

সিলেটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থী রুদ্র সেন হত্যার দায়ে ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল মোমেনের আদালতে বাদী হয়ে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবির সমন্বয়ক হাফিজুল ইসলাম। এই হত্যা মামলায় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাবেক তিন সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও রণজিৎ সরকার, শাবিপ্রবির সদ্য পদত্যাগী উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ ও সহ–উপাচার্য মো. কবীর হোসেন, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান, জগদীশ চন্দ্র দাস ও রুহেল আহমদকেও আসামি করা হয়।