মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সংঘাত বন্ধ করে অস্ত্রবিরতির জন্য চীন মধ্যস্থতা করছে। রাখাইনে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠা হলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আবার আলোচনার পথ সুগম হবে।
আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইয়াও ওয়েন বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দুই দেশের সম্পর্কের নানা দিক নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
রাখাইনের সংঘাতময় পরিস্থিতি প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করছে কি না, তা জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘রাখাইনের নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও প্রত্যাবাসন নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমরা এটাও জানি, প্রত্যাবাসন এখন কিছুটা সমস্যার মুখে পড়েছে।’
চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমারের তিনটি গোষ্ঠীর সঙ্গে সামরিক জান্তার অস্ত্রবিরতির প্রসঙ্গ টেনে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই চীনের মধ্যস্থতায় মিয়ানমার সরকারের তিনটি অস্ত্রবিরতির বিষয় মনে রাখতে হবে। আমরা রাখাইনেও অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছি। আমরা আশা করি, রাখাইনে অস্ত্রবিরতি হলে তা রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনা আবার শুরুর পথ সুগম করবে এবং তা সেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।’
ইয়াও ওয়েন বলেন, চীনের মধ্যস্থতায় বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের আলোচনার প্রক্রিয়ায় আস্থাশীল থাকা উচিত। বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে চাইলে ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নে আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা বাংলাদেশের কাছ থেকে ফিরতি প্রস্তাবের অপেক্ষায় আছি। এ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত থাকবে।’