সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে হট্টগোল, হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় হত্যাচেষ্টা মামলা হয়েছে। এতে আইনজীবী নাহিদ সুলতানা যুথীসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে।
গতকাল শুক্রবার রাতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো: সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফ (এস আর সিদ্দিকী সাইফ) তাঁকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। মামলায় ২০ জন আসামির মধ্যে বিএনপি–সমর্থিত প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুসও রয়েছেন। নাহিদ সুলতানা যুথী যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের স্ত্রী।
মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন আইনজীবী মো. জাকির হোসেন ওরফে মাসুদ, শাকিলা রৌশন, কাজী বশির আহম্মেদ, ওসমান, আরিফ, সুমন, তুষার, রবিউল, চৌধুরী মৌসুমী ফাতেমা (কবিতা), সাইদুর রহমান জুয়েল, অলিউর, জয়দেব নন্দী, মাইন উদ্দিন রানা, মশিউর রহমান সুমন, কামাল হোসেন, আসলাম রাইয়ান, তরিকুল ও সোহাগ। তাঁরা সবাই আইনজীবী। এ ছাড়া মামলায় ৩০ থেকে ৪০ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) ও পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে আইনজীবী ওসমান চৌধুরী রয়েছেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ডিবি ধানমন্ডি থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের আইনজীবী নাহিদ সুলতানার বাসার বাইরে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত বুধ ও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলেও রাতে ভোট গণনা নিয়ে গতকাল ভোরে হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোট গণনা আর হয়নি। ব্যালট সিলগালা অবস্থায় পুলিশের তত্ত্বাবধানে রয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক।
বৃহস্পতিবার রাতেই ভোট গণনা করা হবে কি না, এ নিয়ে গতকাল ভোরে আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে কয়েকজন প্রার্থীর মধ্যে বাদানুবাদ, হট্টগোল ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান সিদ্দিকী সাইফসহ কয়েকজন আইনজীবী আহত হন।