চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ২৫ বছর আগে করা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি মামলার আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন আদালত।
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২–এর বিচারক আলী আহমদ এই দিন ঠিক করেন। ওই ট্রাইব্যুনালের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সাদিয়া আফরিন এ কথা জানান।
সাদিয়া আফরিন প্রথম আলোকে বলেন, এ মামলার ১১ জন সাক্ষী মারা গেছেন। ১২ জন সাক্ষীকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন মাত্র ১০ জন।
১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীর ট্রাম্প ক্লাবের সামনে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। পরে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তদন্তে উঠে আসে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে বিরোধের জেরে ভাড়াটে খুনিদের দিয়ে সোহেল চৌধুরীকে খুন করা হয়। খুন হওয়ার পরের বছর আশীষ রায় চৌধুরীসহ নয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর দুই বছর পর ২০০১ সালে বিচার শুরুর আদেশ হয়। ওই আদেশ চ্যালঞ্জ করে এক আসামি উচ্চ আদালতে গেলে আটকে যায় বিচার কার্যক্রম।
পরে উচ্চ আদালতের আদেশে আবার বিচার কার্যক্রম ২০২২ সালে শুরু হয় বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি।
এদিকে ১৭ বছর আগে ঢাকা মহানগরের পিপি দপ্তর থেকে সোহেল হত্যা মামলার তদন্তের নথিপত্র কেস ডকেট (সিডি) নিয়ে যান পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফরিদ উদ্দিন। আদালতের নির্দেশের পরও তিনি সেই সিডি আদালতে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানান এপিপি সাদিয়া।
মামলার কাগজপত্র ও পুলিশের কাছে দেওয়া সাক্ষীদের জবানবন্দির তথ্য বলছে, বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে গান বন্ধ করা নিয়ে ১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও বান্টির বন্ধু আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর বিরোধের শুরু। এর জেরেই ট্রাম্প ক্লাবের সামনে ঢাকার তৎকালীন শীর্ষ সন্ত্রাসীদের দিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয় সোহেল চৌধুরীকে।