সাদিক অ্যাগ্রোর দুই মালিক ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পাঁচ কর্মকর্তাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ মঙ্গলবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মামলাটি করেন।
মামলায় ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক মো. মনিরুল ইসলামকে। অন্যদের মধ্যে রয়েছেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উৎপাদন বিভাগের পরিচালক এ বি এম খালেদুজ্জামান, বায়ার অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ফিরোজ আহমেদ খান, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক এ বি এম সালাহ উদ্দিন এবং সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন ও তৌহিদুল আলম।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা নিজেরা লাভবান হওয়ার ও অন্যকে লাভবান করার উদ্দেশ্যে দেশীয় দুগ্ধ ও গো-শিল্পের জন্য ক্ষতিকর ও আমদানি নিষিদ্ধ গরু পালনের জন্য ভুয়া অনুমোদনপত্র তৈরি করেছিলেন।
মামলায় আরও বলা হয়েছে, ভুয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে আমদানি করা গরু শুল্ক বিভাগ আটক করেছিল। সরকারের অনুকূলে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেসব গরুর মাংস গত রমজান মাসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়কেন্দ্রের মাধ্যমে জনগণের মধ্যে সুলভ মূল্যে বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তা অমান্য করা হয়। এসব গরু জবাই না করে দণ্ডবিধি ও দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।