সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান বৈধ কি না, তা আগামীকাল জানা যেতে পারে। ওই বিধানের বৈধতা প্রশ্নে করা পৃথক চারটি রিট একসঙ্গে রায়ের জন্য আগামীকাল সোমবার দিন ধার্য রয়েছে।
বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের আজ রোববারের কার্যতালিকায় রিটগুলো ১৮ নম্বর ক্রমিকে ছিল। রায়ের জন্য কার্যতালিকায় একসঙ্গে থাকা চারটি রিটের নিচে ৪ ডিসেম্বর তারিখ উল্লেখ রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত আজ প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল সোমববার রায়ের জন্য পৃথক চারটি রিট একসঙ্গে কার্যতালিকায় এসেছে।
সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার তিন বছর পর সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিধান প্রশ্নে রুলের ওপর গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়। পৃথক চারটি রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে সেদিন হাইকোর্টের একই বেঞ্চ বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রাখেন।
গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১২(১) চ ধারা অনুযায়ী, সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের তিন বছর পার না হলে কেউ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এই বিধান চ্যালেঞ্জ করে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শামীম কামাল চলতি বছর হাইকোর্টে একটি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দেন। রুলে গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের ওই বিধান কেন সংবিধান পরিপন্থী নয়, তা জানতে চাওয়া হয়। একই বিষয় নিয়ে চলতি বছর করা পৃথক তিনটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সময়ে রুল হয়।
পৃথক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হওয়া রুলের ওপর ৭ নভেম্বর শুনানি শুরু হয়। গত ২৯ নভেম্বর শুনানি শেষ হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী, তানিয়া আমীর ও মোহাম্মদ সাঈদ আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশ গুপ্ত। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ।