প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা আরও একটি মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রী ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ২ মে মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী শামীম আল মামুন।
অভিযোগ গঠনের আগে কারাগার থেকে রাসেলকে আদালতে হাজির করা হয়। তবে তাঁর স্ত্রী শামীমা পলাতক আছেন। আদালত তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
রাসেলের পক্ষে আদালতে বলা হয়, পণ্য সরবরাহ না করায় টাকা পাওনা হন বাদী। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। মামলার অভিযোগ দেওয়ানি প্রকৃতির।
মামলার নথিপত্রের তথ্য অনুযায়ী, ইভ্যালির আপসে ২৮ লাখ টাকার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য কেনার ক্রয়াদেশ দেন মুহাম্মাদ আলমগীর হোসেন নামের একজন গ্রাহক। তবে কোনো পণ্য না পাওয়ার অভিযোগ এনে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলা করেন ভুক্তভোগী আলমগীর।
মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। আজ আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন।
এর আগে প্রতারণার আরেকটা মামলায় গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
গ্রাহকের ৩ লাখ ১০ হাজার ৫৯৭ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে আরিফ বাকের নামের একজন গ্রাহক ২০২১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে গত ১১ আগস্ট আদালতে ওই দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ইভ্যালি পণ্য বিক্রির নামে নানা প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে তাঁর মতো অসংখ্য গ্রাহকের ৭০০-৮০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।