ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে সংঘর্ষের ঘটনার পর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। হামলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনেকেই মারধরের শিকার হয়েছেন। আক্রান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীরাও রয়েছেন।
আজ সোমবার টিএসসিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীরা সমাবেশ চলার মধ্যেই বেলা তিনটার দিকে বিজয় একাত্তর হলের সামনে সংঘর্ষের সূচনা হয়। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি দল বিজয় একাত্তর হলে প্রবেশ করতে গেলে তাদের বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ শুরু হয়। তখন আশপাশের হলগুলোর ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা এসে একজোট হয়ে সংঘর্ষে যোগ দেন।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীরা দুই পাশে অবস্থান নিয়ে কিছুক্ষণ পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ চালিয়ে যান। এর মধ্যে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সাহায্য চাইলে টিএসসি থেকে একটি দল সেদিকে যাত্রা করে। মলচত্বরে তাদের বাধা দেন ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা।
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে এ জায়গায়ও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনের জায়গা থেকে পিছু হটেন। তাঁদের একটি দল ফুলার রোড হয়ে এবং আরেকটি দল স্যার এ এফ রহমান হলের সামনের রাস্তা দিয়ে নীলক্ষেতের দিকে সরে যায়। অপর দিকে বিজয় একাত্তর হলের সামনে ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চালিয়ে আসা শিক্ষার্থীরাও বিকেল চারটার দিকে পিছু হটেন।
শিক্ষার্থীরা যখন পিছু হটছিলেন, তখন সামনে যাঁকে পান, তাঁর ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীরা। এ সময় অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ নেতা–কর্মীদের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত অন্তত চারজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন, মাহমুদুল হাসান (২৩), একুশে হলের ইয়াকুব (২১), শহীদুল্লাহ হলের রাকিব (২৪) ও মাসুদ (২৩)। মাথায় ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে আহত হয়েছেন তাঁরা।