ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য শেষ, পরবর্তী শুনানি ৯ নভেম্বর

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। ৯ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ঠিক করেছেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা।

ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, মাত্র ১১ কার্যদিবসে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ সোমবার সাক্ষ্য দিয়েছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক মিজানুর রহমান। ৯ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানির দিন ড. ইউনূস আদালতে হাজির থাকবেন।

এর আগে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় গত ২২ আগস্ট সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। আর এ মামলায় অভিযোগ গঠন হয় গত ৬ জুন।

মামলায় অপর তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলা করে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর। ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এ মামলা করেছিলেন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান।

মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের লঙ্ঘনের বিষয়ে জানতে পারেন। এর মধ্যে ১০১ জন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানের লভ্যাংশের ৫ শতাংশ শ্রমিকদের দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।

এদিকে গত ৩০ মে ড. ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারী কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।

দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। পরে ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যদের দুদক তলব করেছিল। গত ৫ অক্টোবর দুদকে যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাই আমি শঙ্কিত নই।’